এ বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাসের হার বরিশালে ও সর্বনিম্ন যশোর শিক্ষাবোর্ডে।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশালে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, সিলেটে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার এইচএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমার কারণ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘গতবার পরীক্ষা সহজ ছিল। কম বিষয়, কম সময় ও কম নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য পরীক্ষাটাও তুলনামূলক কঠিন হয়। এতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে।’
আজ রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন : এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৪২ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি