স্টাফ রিপোর্টার: আন্দোলন করে সরকার পতনের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- এই মাটি আমাদের, এই সমস্ত ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। গতকাল রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এরপর ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি’ প্রকল্পের বিষয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রকল্পটির বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি লি গুয়াংজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের খুদে সংস্করণ উপহার দেন।
তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্যও দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। পরে দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে কাওলা ও পুরাতন বাণিজ্যমেলা প্রান্তে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধন শেষে কাওলা প্রান্তে রঙিন বেলুন উড়িয়ে দেয়া হয়। কাওলায় উদ্বোধন শেষে টোল পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুধী সমাবেশে যোগ দেন। সুধী সমাবেশে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যাক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশ ঘিরে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখে পুলিশ।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখেন না। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন। যাদের জন্মই হচ্ছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, উচ্চ আদালত যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছে, তারা কী গণতন্ত্র দেবে? তারা তো গণতন্ত্র দিতে জানে না। তিনি বলেন, তারপরও তারা আন্দোলনের নামে অনেক সময় অনেক কথা বলে। সেইখানে আমি আপনাদের একটা কথা বলবো, মাঝে মাঝে জানি আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে অনেকে একটু ঘাবড়ে যান, তারপর আবার স্যাংশন আসে, ভিসা স্যাংশন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার স্পষ্ট কথা, এই মাটি আমাদের, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি জাতির পিতার নেতৃত্বে। এই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ জানে অধিকার আদায় করতে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ তো ছয় ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর দেশে আমরা তো দেখি- কখনো বর্ষা, কখনো ঝড়, কখনো জলোচ্ছ্বাস, কখনো রৌদ্রোজ্জ্ব¡ল সময়। এমন ভিন্নতা দেখে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আজকে যারা আন্দোলনের নামে রোজই ক্ষমতা থেকে আমাদের ফেলে দিচ্ছেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, যারা এখানে উপস্থিত সকলকে বলবো, কবির ভাষায় বলবো- মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে, হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মেঘের ঘনঘটা আমরা দেখি, আবার তারপরে তো সূর্য ওঠে। কাজেই ওই ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ তার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, নৌকা সারা জীবন উজান ঠেলে ঠেলে এগিয়ে গেছে। ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়ে আজকে নৌকা তীরে ঠেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে। নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা মার্কাই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মবিশ্বাস রেখে জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব, আমরা তা প্রমাণ করেছি; যার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। তিনি বলেন, আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেন হয়েছে? একটাই কারণ, ২০০৯ সাল থেকে যে গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে একটা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল পরিবেশ রাখতে পেরেছি, তার কারণেই আজকে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসীর জন্য উপহার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে বিমানবন্দর, কুড়িল, মহাখালী, ফার্মগেট, মগবাজার, কমলাপুর এলাকায় যানজট নিরসন করবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না, দ্রুত উন্নতি হবে, কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ঢাকাবাসীর আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। আমরা যতটুকু করলাম, বাকিটুকু দ্রুত তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আজ একটা সাময়িক সমস্যা চলছে। আমাদের ওপর অর্থনৈতিক ধাক্কা এসেছে। এজন্য আমি বলেছি, দেশে কোনো অনাবাদি জমি থাকবে না। নিজের ফসল নিজে ফলাবো। নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করে খাবো। কারও কাছে হাত পাতবো না। জাতির পিতা বলতেন, ভিক্ষুকের জাতির উন্নতি হয় না। সরকার প্রধান আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখা যায় না। মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক উদ্বোধন করলাম। এগুলো সবই জনগণের স্বার্থে। সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতি করেছি। আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
এদিকে সুধী সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। তীব্র গরম ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা সমাবেশস্থলে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখেন।
১৪ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট প্রধানমন্ত্রী:
গতকাল বিকাল ৩টা ৪২ মিনিটে কাওলা প্রান্তে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মোনাজাতে অংশ নেন। উদ্বোধনের পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তার সময় লাগে ১৪ মিনিট। বিকাল ৩টা ৪৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দক্ষিণ কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেটের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর রওনা হয়। বিকাল ৩টা ৫৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট প্রান্তে এসে পৌঁছান তিনি। পরে ফার্মগেট থেকে প্রধানমন্ত্রী পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে যান। দেশের প্রথম এ উড়াল সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে আজ সকাল থেকে। ফলে মাত্র ১০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছতে পারবে যাত্রীরা। উদ্বোধন ফলক উন্মোচন শেষে সেতু সচিব মনজুর হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছিলেন। এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (কাওলা-ফার্মগেট) প্রথম যাত্রী হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা করে টোল দেন সরকার প্রধান। দ্রুতগতির এই উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়াল সড়ক। পুরো উড়াল সড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র্যাম্পসহ উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উড়াল সড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পুরো পথ চালু হলে তা যানবাহনে পাড়ি দিতে ২০ মিনিট লাগবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পাড়ি দিতে লাগবে ১২ মিনিট।
কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিএনপি নেতাদের দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন দুঃখে, কেন পদত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? কোন দেশের নির্বাচনী নীতিমালায় এটা (প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ) আছে? সুধী সমাবেশের উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ কতো লোক, লোকে লোকারণ্য! উদ্বোধনী অনুষ্ঠান (বিমানবন্দর এলাকা) থেকে এলাম, পথে পথে মানুষ আর মানুষ। বাইরে কয়েকটা সমুদ্র, এটা (সুধী সমাবেশ) হয়ে গেছে মহাসমুদ্র। মহাসমুদ্রের গর্জন ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি, জনতার মহাসমুদ্র। গতকাল (শুক্রবার) ছাত্রসমাবেশ দেখে ষড়যন্ত্রকারীদের চোখে ঘুম নাই। তারা অন্তর জ্বালায় মরে! এত ছাত্র, এত ছাত্রী কোথা থেকে এলো? আজ তো ওরা (বিএনপি) এই ছবি দেখে মুর্ছা যাবে। এই মহাসমুদ্র দেখলে ওরা হারিয়ে যাবে। বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনে লুটপাট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে (দুর্নীতিতে) পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর দোসর। তোমরা কী দিয়েছো…ঘোড়ার ডিম। দেশের মানুষ বিএনপি’র কাছে কী পেলো? একেবারে অশ্ব ডিম্ব। আর কিছুই পায়নি। শেখ হাসিনা একসঙ্গে শত সেতু উদ্বোধন করেছেন। অপেক্ষা করেন, কয়েকদিন পরেই আরও দেড়’শ সেতু একদিনে উদ্বোধন হবে। বিএনপি’র নেতারা এখন ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন তো নাই। মাঝে মাঝে আন্দোলনে গ্যাপ দেয়।
তখন ঘরে বসে বসে আনন্দে এয়ারকন্ডিশন রুমে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে। এর চেয়ে কাপুরুষ! এক কাপুরুষ তো দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তারেক রহমান পালিয়ে যায়নি? কী বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না বলে। অর্থপাচারের দ- নিয়ে লন্ডন শহরে আছে, সে নাকি বাংলাদেশের বীর নেতা! বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘চোর’ ও ‘লুটপাটকারী’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তাকে বাংলাদেশের মানুষ মানে? তোমাদের (বিএনপি) আন্দোলনের নেতা কে? আগামী নির্বাচনে তোমাদের প্রধানমন্ত্রী কে? বাংলার মানুষ এই লুটপাটকারী, অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, ষড়যন্ত্রকারীকে কোনোদিন মানেনি, মানবেও না। সামনে লড়াই, আগামী ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা উল্লেখ করে উপস্থিতির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, পারবেন তো! ফাইনাল খেলায় জিততে পারবেন? পারবেন। ওদের (বিএনপি) হাতে শোকের পতাকা, এখন তারা শোক মিছিলে নামছে। আমাদের হাতে থাকবে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয়ের পতাকা। শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে আমরা আগামী নির্বাচনে এগিয়ে যাবো বিজয়ের সোনালী বন্দরে। প্রস্তুত আছেন তো? দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলতে হবে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
সিয়েরা লিওনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিয়েরা লিওনে নিষেধাজ্ঞার কথা শুনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কিছুটা উল্লাসের ভাব দেখা যাচ্ছে। সিয়েরা লিওন যা করলো, সেই কুকর্ম তো তোমরা করেছো। ক্ষমতায় থাকতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, মাগুরার নির্বাচন করেছো। তোমরা জালিয়াতির নির্বাচন করেছো। আগামী নির্বাচনে যারা বাধা দিবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি কেন আসবে না, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কেন আসবে না? তারাই তো অপরাধী। আমরা তো নির্বাচন চাই, ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেটিবল ইলেকশন চাই। আমাদের লিডার বার বার এ কথা বলে দিয়েছেন। আমাদের সিয়েরা লিওনের কথা বলে লাভ নেই। আমাদের গ্যাবনের কথা বলে লাভ নেই। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংকটে যেমন বঙ্গমাতা সহযোদ্ধা, সহকর্মী ছিলেন তেমনি নেত্রী শেখ হাসিনার পাশে সংকটে যখন শেখ রেহানাকে দেখি, তখন সেই পুরনো দিনের হারানো স্মৃতি বার বার মনে পড়ে। সংকটে তিনিও (শেখ হাসিনা) একা নন, পাশে বোন রেহানা দাঁড়িয়ে আছেন দৃঢ়চিত্তে পিতা মুজিবের স্বপ্নকে সামনে রেখে। সবার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবার দেখা হবে। আবার দেখা হবে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বিজয়ের মিছিলে পতাকা হাতে আবারো দেখা হবে।’
আরো পড়ুন: ড. ইউনূসের পক্ষে বিদেশিদের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি ৫০ সম্পাদক