বরগুনা প্রতিনিধি : খাকদোন-বিষখালী-বুড়ীশ্বর আর বলেশ্বর নদ ঘিরে রেখেছে দক্ষিণ উপকূলের জনপদ বরগুনা জেলাকে। খাকদোন নদের তীরে গড়ে উঠেছে বরগুনা জেলা শহর। একসময়ের খরস্রোতা এই নদের দুই পাড় এখন প্রশাসনিক আর ব্যক্তি পর্যায়ে দখলের শিকার। একই সঙ্গে বর্জ্য দূষণে এ নদ মরা আর সরু খালে পরিণত হয়েছে।
খাকদোন ভরাট করে দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ পাড়ে প্রেস ক্লাব, সড়কের উত্তর-পূর্ব পাশে থাকা ডিসি-এসপির লঞ্চঘাট দখল করে বাড়ি করেছেন তাদেরই কর্মচারী এবং স্থানীয়রা। নদীর পূর্ব দিকে দখল করে বসতবাড়িসহ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন। একাধিকবার এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি উঠলেও গুরুত্ব দেয়নি প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদের নাব্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে দখলকারীদের কাছে টাকার বিনিময়ে নদ ইজারা দেওয়া হয়েছে। খাকদোন নদের দক্ষিণ পাড়ে নৌবন্দরের জায়গা পর্যন্ত ৫-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে অবৈধভাবে কাঠ ও মাছ আড়তদারদের বন্দোবস্ত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের কাছে। বরগুনার বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা খাকদোন নদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদ খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনার দাবিতে সামাজিক আন্দোলন করে আসছেন। নদ ভরাট করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ২০২১ সালে হিউম্যান রাইটসের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাই কোর্টে একটি রিটও করেন। বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, খাকদোন নদকে এখন আর নদ মনে হয় না। আমরা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদ খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনতে সামাজিক আন্দোলন করেছি। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদে আরও স্থাপনায় উৎসাহিত করছে প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘কোন প্রভাবশালীর স্বার্থে প্রশাসন দখলদার উচ্ছেদ করছে না- সেটা আমরা জানি না।
আরো পড়ুন : নৌকার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহিকে বরণ করে নিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা