স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর প্রশ্নটি উঠেছিল। ওই নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি ফয়জুল করীম। একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলার শিকার হন। হামলায় রক্তাক্ত হয়ে ওই প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ নির্বাচনের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও বর্তমান ইসি’র পদত্যাগ দাবি করে কর্মসূচি পালন করে আসছে। ওইদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি ওই প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে বলেছিলেন ‘উনি কী ইন্তেকাল করেছেন’। সিইসি’র ওই বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হয় তখন। প্রশ্ন উঠে নির্বাচনের মাঠে একজন প্রার্থী হামলার শিকার হলে, রক্তাক্ত হলে ওই নির্বাচনকে কী সুষ্ঠু বলা চলে। এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন কিন্তু সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি।
সিইসি অবশ্য বলেছিলেন, হামলার বিষয়টি আপেক্ষিক। অনেকে বলেছিলেন খোদ প্রার্থী হামলার শিকার হলে ওই নির্বাচনকে আর সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায় না।
বরিশালের নির্বাচনের পরের সেই আলোচনা আবার নতুন করে এসেছে গতকাল ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে। নির্বাচনের শেষ সময়ে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিরো আলম হামলার শিকার হন। তাকে বেধড়ক মারপিট করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। হামলার পর তিনি হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন। এমন অবস্থায় গতকাল অবশ্য সিইসি’র কোনো বক্তব্য আসেনি। নির্বাচন শেষে কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, হামলার ঘটনা দুঃখজনক। হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনার ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বরিশালের ঘটনার সূত্র ধরে এ ঘটনায় সিইসি’র বক্তব্য কেমন হয় তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এখন দেখার অপেক্ষা ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন এবং হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্নের মুখে কী বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরো পড়ুন : হিরো আলমের উপর হামলার মধ্যদিয়ে কি সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা মহড়া দেখা গেল?