বরাবরের মতো এবারের একুশে বইমেলায়ও অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা একাডেমি। মেলা শুরুর আগেই স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ শেষ করার বিষয়ে নীতিমালায় নির্দেশনা থাকলেও মেলার প্রথম দিন গতকাল পর্যন্ত বেশির ভাগ প্রকাশক তাদের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেননি। এ ছাড়া যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল নির্মাণ সামগ্রীর বাঁশ ও কাঠের টুকরা, লোহার পেরেক ইত্যাদি। বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করার পর ৫টার দিকে সর্বসাধারণের জন্য মেলার সব প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়। এ সময় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লোকসমাগম। লোকসমাগম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলা উড়ন্ত ধুলো যখন আগতদের বিরক্তির কারণ হয়ে দেখা দেয় ঠিক তখনই সন্ধ্যায় স্বস্তির বৃষ্টি মেলাকে পরিচ্ছন্নতার রূপদান করে। তবে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য বাংলা একাডেমি তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখেনি বলে ভোগান্তিতে পড়েন আগতরা। গতকাল উদ্বোধনী দিনে নাতি হৃদয়কে নিয়ে রাজধানীর মানিকনগর থেকে মেলায় আসেন বৃদ্ধা জমিলা খাতুন। বইপ্রেমী এই বৃদ্ধা বলেন, মেয়ের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। কয়েক দিন আগেই চলে যেতাম। বইমেলা শুরু হবে বলে নাতি হৃদয়ের পীড়াপীড়িতে যেতে পারিনি। অনেক শখ করে এলাম। কিন্তু মেলার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আমাকে মর্মাহত করেছে। এবার মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন থাকবে। এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বাহির পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট আটটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে।
আরো পড়ুন : সিলেটে ব্যবসায়ীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ব্যারিকেড পার্টি