এবার আমের পর রপ্তানি বাজারে রাজশাহীর পেয়ারা ও বরই

অর্থনীতি কৃষি প্রচ্ছদ শিল্প প্রতিষ্ঠান সফলতার গল্প

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর আম ছয় বছর ধরেই যাচ্ছে বিদেশের বাজারে। এ বছর থেকে যাচ্ছে পেয়ারা ও বরই। বিশ্ববাজারে দেশের ফলের চাহিদা বাড়তে থাকায় রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে; যা ধরে রাখতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। রপ্তানি কীভাবে আরও কয়েকটি দেশে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে বাঘার আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও রাশিয়ায়। বিশ্ববাজারে আম সুনাম বয়ে এনেছে। রপ্তানির তালিকায় আমের পর এবার যুক্ত হয়েছে পেয়ারা ও বরই। ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সফল কৃষক শফিকুল ইসলাম সানা ৫০০ কেজি পেয়ারা রপ্তানি করেন ইতালিতে। একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম সানা ও বাউসা এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা শাহিন ইকবালের বাগান থেকে রপ্তানি হয় ৩০০ কেজি থাই বরই। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দেশে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ হয়। তার মধ্যে কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশে অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। দেশের প্রায় সব জেলায়ই কমবেশি এ কুল চাষ হয়। তবে রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বগুড়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ময়মনসিংহে ভালো এবং উন্নত জাতের বরই চাষ হয়। এদিক থেকে স্বাদে গুণে বাঘার বরই এগিয়ে। ফলে আমের পর এবার দেশের বাইরে রপ্তানি শুরু হয়েছে পেয়ারা ও বরই।

বাঘার চাষি শফিকুল ইসলাম সানা বলেন, ‘এ উপজেলার মাটি যে কোনো ফসল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। আম এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল। আমের পরে পেয়ারা ও বরই চাষ করে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমের রপ্তানি বাজার কয়েকটি দেশে হয়েছে। তা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন আমের সঙ্গে পেয়ারা ও বরই যুক্ত হলো। আমাদের দেশের উৎপাদিত ফল বিশ্ববাজারে যাতে সুনামের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। আগামীতে রপ্তানি আরও বাড়বে।

আরো পড়ুন : গত তিন মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ৭৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হয়েছে।

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *