নিজের জন্মভূমি আর্জেন্টিনাতে লিওনেল মেসি কত বারই ফিরেছেন! তবে এবারের ফেরা একেবারে অন্যরকম। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। স্বভাবতই বিশ্বজয়ী মেসির মুকুটে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পালক। কয়েক দিন আগে মেসির নামে জাতীয় দলের অনুশীলন সেন্টারের নামকরণ করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন। আর এবার পেলে ও দিয়েগো মারাদোনার পাশে জায়গা করে নিলেন মহাতারকা মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার সাফল্য ও অবদানের জন্য তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন। এবার কনমেবল তৈরি করল মেসির ভাস্কর্য। এই বিশেষ ভাস্কর্য থাকবে কনমেবলের জাদুঘরে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ভাস্কর্য রাখা হবে পেলে ও মারাদোনার ভাস্কর্যের পাশে। শুধু কী তাই, কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের ‘শাসক’ ঘোষণা করেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জেতার আগেও আরো দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতার পর ইতালিকে হারিয়ে জিতেছিলেন লা ফিনালিসিমা। সোমবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয় মেসির হাতে। সেই সময় জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি ও বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারদের হাতেও কোপা আমেরিকা ট্রফিসহ বিশ্বকাপ ও ফিনালিসিমা ট্রফির ছোট রেপ্লিকা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দিয়ে কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ বলেছেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার এবার থেকে লিওনেল মেসির হাতে তুলে দিলাম।’
এমন সম্মান পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মেসি। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফুটবল ক্যারিয়ারে আমি সবকিছুই অর্জন করতে পেরেছি। আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ, এত সুন্দর উপহার দেওয়ার জন্য। কনমেবলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই বিশেষ আর দারুণ একটি মুহূর্তে কাটাচ্ছি। বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে সবার কাছ থেকে ভালোবাসা ও অভিনন্দন পাচ্ছি। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’ কনমেবল জাদুঘরে তার মূর্তি বসবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি মেসি। তাই মেসি জুড়ে দিলেন, ‘এটাও অনেক বড় সাফল্য। আমি কখনো এমন সম্মান পাব, সেটা ভাবতে পারিনি।’
আরো পড়ুন : এক যুগ পর টেলিভিশন নাটকে শ্রাবন্তী