কঠিন চাপে ইসরাইল, হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আলোচনা শুরু

আন্তর্জাতিক ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ জনপ্রতিনিধি তথ্য-প্রযুক্তি ধর্ম প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

তিন জিম্মিকে শুক্রবার ভুলক্রমে হত্যা করেন ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে এ ঘটনা ঘটে। এটি জানাজানি হওয়ার পর ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধারে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে চাপ প্রয়োগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

করুণভাবে তিন জিম্মির মৃত্যু ও অন্য জিম্মিদের পরিবারের চাপের মুখে হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আবারও আলোচনা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন চুক্তি করতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নেয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এর আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে মোসাদপ্রধানের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে।

দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ‘এই বৈঠকটি নতুন চুক্তির শুরু মাত্র। নতুন চুক্তির প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, কঠিন এবং জটিল হবে।’

মোসাদপ্রধান ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএপ্রধান বিল বার্নস ও মিসরের গোয়েন্দামন্ত্রী জেনারেল আব্বাস কামেলকেও অবহিত করা হয়েছে।

কাতারের মধ্যস্থতায় গত ২৪ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল হামাস ও ইসরাইল, যা সাত দিন স্থায়ী হয়েছিল। ওই সময় ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

তবে সাত দিন পর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করে গাজায় আবারও বর্বর হামলা চালানো শুরু করেন দখলদার ইসরাইলি সেনারা।

ওই সময় ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করা হবে। কিন্তু গত ১৬ দিনে একজন জিম্মিকেও জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি তারা। এর বদলে এক জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সেনা প্রাণ হারান। সঙ্গে নিহত হন ওই জিম্মিও।

ওই সময় হামাস হুমকি দেয়, তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে পারবে না ইসরাইল।

গাজায় যেসব জিম্মি আছেন তাদের আত্মীয়স্বজনরা শুরু থেকেই বলে আসছেন- তাদের প্রিয়জনদের উদ্ধারে যেন আবারও আলোচনা শুরু করা হয়। কিন্তু সেটিতে কর্ণপাত করেনি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন উগ্রপন্থি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এখন চাপে পড়ে ফের আলোচনায় বসেছেন তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল

আরো পড়ুন : আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মাহিকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন আদালত

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *