ভারতে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত।
শনিবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) থেকে পি কে হালদারের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রবিবার (১৫ মে) সকালে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রবিবারই ইডির কর্মকর্তারা পি কে হালদারকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে বেশিরভাগ সময় তিনি বিমর্ষ ছিলেন বলে ইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেন পি কে হালদার। প্রদেশটির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে শিব শঙ্কর হালদার নামে পরিচয়পত্র বানিয়ে পালিয়ে ছিলেন পি কে হালদার। তিনি শিব শঙ্কর পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ড জোগাড় করেছিলেন।
শুক্রবার থেকে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সম্পত্তির সন্ধানে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এদিন ভোরে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার পোলেরহাটে দুটি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় সুকুমার মৃধার বেআইনি সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ইডি। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এই তল্লাশি চালান।
শনিবার পি কে হালদারের সম্পত্তির খোঁজে দ্বিতীয় দফায় আবারও অভিযান শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাই এবং রাজধানী দিল্লিতেও অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী এই সংস্থা। পরে অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অঅরো পড়ুন : ‘বর্ণবাদে উৎসাহী হয়ে এক ঘৃণ্য হামলা চালাল শ্বেতাঙ্গ তরুণ’