কানাইঘাট সীমান্তে আটকের সময় যা পাওয়া গেল বিচারপতি মানিকের সঙ্গে

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ জনপ্রতিনিধি জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি দুর্নীতি পুরুষ প্রচ্ছদ রাজনীতি লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তে আটক হয়েছেন আলোচিত সমালোচিত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আজ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে কিছুক্ষণ আগে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে। ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে তিনি আটক হন। আটকের সময় মানিককে বিজিবি সদস্যরা প্রশ্ন করেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন কেন, জবাবে মানিক বলেন- প্রশাসনের ভয়ে আমি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছি।

সঙ্গে কী আছে জানতে চাইলে মানিক বলেন, গতকাল আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। যারা আমাকে বর্ডার পাড় করাতে চেয়েছিল তারা আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড আছে।

বিজিবি সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি। বিচারপতি হিসেবে যা রায় আমি তাই দিয়েছি।

আজ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে কিছুক্ষণ আগে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে। ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে তিনি আটক হন।

আটকের সময় ভিডিও রেকর্ড করা হয় মানিকরে। ভিডিওতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যরা তার পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় স্বীকার করে মানিক বলেন, আমি বিচারপতি মানিক।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে জিয়াউর হক নামে এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর চ্যানেল আই’র টকশো ‘মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্টে’ জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক সেমিনারে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী।

২০১৩ সালের ১৯ জুলাই ভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময় জিয়া পরিবার নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছে বলে মামালর এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

আরো পড়ুন : বন্যায় পানিবন্দী ৯ লাখ পরিবার, ১৩ জনের মৃত্যু

 

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *