ঝিনাইদহে নৌকা-ঈগল সমর্থকদের সংঘর্ষ, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ক্যাম্পে আগুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অফিস ভাঙচুর মানিকগঞ্জে ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা, প্রচারে বাধা, নির্বাচনি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়ছেই। বেশির ভাগ সংঘাত ঘটছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সারা দেশ থেকে নির্বাচনি সহিংসতার খবর পাঠিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিরা-
আরো পড়ুন : ভোটের মাঠে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত-সহিংসতা, চলছে গুলি ককটেল হুমকি
ঝিনাইদহ : নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৪, চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩ : ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঈগল প্রতীকের আশিক হোসেন ও বকুল মোল্লাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকা সমর্থকদের দাবি, তাদের দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঈগল প্রতীকের সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন কেবি, নৌকা প্রতীকের সমর্থক বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন আশরাফ ও কবির চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ছাবু জোয়ারদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সদরের সুরাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর রাতে উভয়পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয়রা জানান, বিকালে সদর উপজেলার সুরাট বাজারে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন করে। এরপর নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা সেখানে অবস্থান নেয়। ওই সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করে। পরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা একই স্থানে জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দীন জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। উভয় পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জ : নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি : মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের এক সমর্থক। গত মঙ্গলবার বিকালে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মীরা প্রচার চালানোর সময় তাদের উদ্দেশ করে হুমকি দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী-সমর্থকরা বিকালের দিকে ইরতা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে ট্রাক মার্কায় ভোট চাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে মমতাজের কর্মী আলী ইস্কান্দার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘এইবার দেখার আছে, আমি কেন্দ্রে থাকব, নৌকায় ভোট কে না দেয়, হাত কাইটা ফেলব। সরকার আমার, প্রশাসন আমার, এমপি আমার, এবার দেখার আছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ইরতা গ্রামে ট্রাক প্রতীকে ভোট চাইতে গেলে তার কর্মী আবদুর রাজ্জাককে হাত কেটে নেওয়াসহ হত্যার হুমকি দেন মমতাজ বেগমের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে মমতাজ বেগমের সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধরসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
ফরিদপুর : নৌকা-ঈগলের ক্যাম্পে আগুন, আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার : ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নানা অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পাটপাশা এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকার নির্বাচনি ক্যাম্পে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকরা ক্যাম্পটি পুড়িয়ে দেয়। এদিকে মঙ্গলবার ভোর রাতে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের একটি নির্বাচনি ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে ক্যাম্পের কয়েকটি চেয়ার, টেবিল ও পর্দার কাপড় পুড়ে যায়। এ কে আজাদের দাবি, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন তার ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে।
এদিকে নানা অভিযোগে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের অনুসারী তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাটকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে সম্রাটকে আটক করা হয়। সম্রাটের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারপিট, নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নৌকার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জের ইউএনও এএফএম আবু সুফিয়ান জানান, নৌকার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী : স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা : রাজশাহীর বাগমারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে তিনজনকে গুরুতর আহত করেছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার শ্রীপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নৌকার সমর্থকদের হামলায় শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদ, যুবলীগ কর্মী আলমগীর হোসেন আহত হয়েছেন। আহতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
আহত জিল্লুর রহমান জানান, লিফলেট বিতরণের সময় শ্রীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ১২-১৫ জন বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। এরপর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা নৌকার সমর্থক। তাদের হামলায় শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদের হাত ভেঙে গেছে।
চট্টগ্রাম : নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন, মাইক ভাঙচুর : চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন, মাইক ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ অব্যাহত আছে। গতকাল এবং মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হাইতকান্দি ইউনিয়নের বালিয়াদি গ্রামে নৌকার প্রার্থী মাহবুব উর রহমানের কর্মীরা তার পোস্টার লাগানোয় বাধা দেয় এবং তার কর্মী মো. রাকিবকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তার নির্বাচনি এজেন্ট পলাশ খাস্তগীর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলে চন্দনাইশ থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (শিবগঞ্জ) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরসহ আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের একবরপুর ও লছমানপুরে ট্রাক প্রতীকের দুটি অফিস ভাঙচুরসহ আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি ইতোমধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম : নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন : চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনি ক্যাম্প আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোররাতে এলাকার আবদুল মাবুদ সওদাগরের বাড়ির পাশে নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছি নেতা-কর্মীদের একটাই কথা বলি, মারামারি ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু উনার (লতিফ) লোকজন এখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের প্রতি অনুরোধ করছি।’
বাগেরহাট : বিদ্রোহীদের হামলায় উপমন্ত্রীর চার কর্মী আহত : বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল পাখি) কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের চার কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নে চায়না মার্কেটের চায়ের দোকানে হামলায় আহতরা হলেন- ইলিয়াস হাওলাদার (৩৮), দুলাল জমাদ্দার (৩৮), মনিরুল ইসলাম খান (৩৬) ও আলতাফ হোসেন (৪০)। নৌকার এই চার কর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের মোংলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় ঘটনায় নৌকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নোয়াখালী : মামলা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হয়রানির অভিযোগ : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর ভূঁইয়া মানিকের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সেনবাগের নিজ বাসভবনে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম জনবিচ্ছিন্ন হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের মামলা হামলা করে হয়রানি করছে এবং প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করছে নৌকার সমর্থক হেলমেট বাহিনীর প্রধান সৌরভ হোসেন সুমনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন। এখনো বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের প্রচারে বাধা ও হুমকি দিচ্ছে।
বরিশাল : স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি : বরিশাল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহউদ্দিন রিপনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার চরমোনাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহউদ্দিন রিপন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে রিপন ও তার কর্মীরা নিরাপত্তহীনতার ভুগছেন। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ ফারুক বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচনায় আসতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কুমিল্লা : কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার বড়শলঘর ইউনিয়নের প্রজাপতি বাজারের ওই নির্বাচনি ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রজাপতি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. তফসির আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১টার সময় আমরা অফিস বন্ধ করে যে যার বাড়ি চলে যাই। ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে অফিসে এসে দেখি বাউন্ডারি দেওয়া কাপড় পুড়ে গেছে। টেবিল-চেয়ার অগোছালোভাবে পড়ে আছে। জামালপুর : জামালপুর-৫ সদর আসনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। গতকাল দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডুলা গ্রামে একটি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা জানান, জামালপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচার কাজ শেষ করে তারা কৈডুলা গ্রামে তাদের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে এসে হাজির হয়। পরে কর্মী-সমর্থকের অনেকেই বিশ্রামে গেলেও কয়েকজন কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকরা বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নৌকার নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য নিয়ামত আলীসহ নৌকা প্রতীকের ছয় কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, নৌকা ও ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
আরো পড়ুন : প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নির্বাচনে শোচনীয় অবস্থা কেন?