‘গণত্রাণ’ কর্মসূচিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে টিএসসিতে মানুষের ঢল

ওকে নিউজ স্পেশাল জনদুর্ভোগ জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি ধর্ম প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল সফলতার গল্প হ্যালোআড্ডা

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে শুরু করে, ট্রাক, সিএনজি, রিকশা বা হাতে করে অসংখ্য মানুষ ত্রাণ নিয়ে আসছে। হিসাব অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২ টাকা নগদ সংগ্রহ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা নামার পরেও ত্রাণ অসংখ্য মানুষকে ত্রাণ নিয়ে টিএসসিতে আসতে দেখা যায়।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন পরিবহনে করে বন্যার্তদের জন্য খাবার, জামাকাপড়, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসছে। অসংখ্য মানুষ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে এসেছে। তা ছাড়া বিকেলে বিজিবির একটি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে ত্রাণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সংগ্রহে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে বিরামহীনভাবে কাজ করতে দেখা যায়।
মাঝেমধ্যে ত্রাণের বহর খালি করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের এসব তদারকি করতে দেখা যায়।

দিনভর বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী আসায় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া ও গেমস রুম বিকেলেই পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টিএসসির বারান্দায় ত্রাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা শুরু হয়।
টিএসসির বারান্দাতেও ত্রাণসামগ্রী বিশাল স্তূপ লক্ষ করা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা মানব লাইন তৈরি করে টিএসসি গেট থেকে ভেতরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।

শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, সংগ্রহ করা হচ্ছে নগদ টাকাও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া তথ্য মতে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া মোট নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, অনলাইন মিলিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত তা এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বন্যার্তদের সাহায্যে এভাবে এগিয়ে আসবে, তা কল্পনাতীত ছিল। আমরা ভাবতেও পারিনি এত পরিমাণ ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ত্রাণ আসবে। মানুষ যতটা পারছে সাহায্য করছে। দ্রুতই ত্রাণসামগ্রী বন্যার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

ত্রাণ পৌঁছে দিতে আসা একজন নারী বলেন, ‘আমি আজিমপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই গণত্রাণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছি। নিজের যতটুকু সামর্থ্য আমি সে অনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দেশের সব স্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছে। অসহায় মানুষের পাশে এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে দেখে অনেক ভালো লাগছে। এই শিক্ষার্থীরাই সামনের দিনে সুন্দর দেশ গড়বে বলে আমি মনে করি।’

আরো পড়ুন : সময় শেষ হবার বিষয়টি ৪ঠা আগস্ট রাতেই বুঝতে পারেন হাসিনা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *