গাইবান্ধায় বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহারে লাভবান কৃষক

অর্থনীতি ওকে নিউজ স্পেশাল কৃষি পুরুষ প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় কৃষকদের মাঝে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। খুব সহজেই বাড়ির আঙ্গিনায়,আশপাশে ও ফল বাগান কিম্বা গাছের নিচে ছায়া যুক্ত স্থানে এর চাষ হয় বলে দিন দিন কৃষক পর্যায়ে বস্তায় চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বৈরাগীর বাজার গ্রামের কৃষক চনচল জানান গত বছর তিনি ৬ শ’ বস্তা আদা চাষ করেন। লাভবান হওয়ায় এবার তিনি বসতবাড়ির আঙ্গিনায়,আশপাশ এবং ফল বাগানে প্রায় ১৭শ’ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এ আবাদে লাভবান হওয়ার আশা তার। এ ছাড়াও পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের খলসী গ্রামের শহিদুল ইসলাম,খলিলুর রহমানসহ আনেকেই এবার বস্তায় আদা চাষ করছেন।

চাষীরা জানান পরিমানমত মাটির সাথে কৃষি উপকরন মিশিয়ে বস্তার মধ্যে আদার বীজ রোপন করেন তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুকি,রোগবালাই ও পরিচর্য ব্যয় কম আর খুব সহজেই এ চাষ করা যায় বলে বাস্তায় আদা চাষ লাভজনক। কৃষক আরো জানান একটি বস্তায় চাষে খরচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত যা থেকে ১ কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা বøকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য জানান এ পদ্ধতিতে উৎপাদন ব্যয় কম তাই বাস্তায় আদা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতেকরে পাতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, বাস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ বেশ লাভজনক তাই যত্রতত্র কৃষক এ ধরনের চাষ আবাদ করছেন। বাড়ির আঙ্গিনা,আশপাশে ও বিভিন্ন ধরনের বাগান কিম্বা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করা যায় বলে এসব পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ছে। আদা চাষীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগারি সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
জেলায় এ বছর ৫শ’৯০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করা হয়েছে। যারমধ্যে ১ হাজার ৪শ’ কৃষক ৮৫ হাজার বস্তায় আদা আবাদ করছেন। যা থেকে মোট ৮ হাজার ২শ’ ৬০ মেট্রিক টন আদা উৎপদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামীতে বস্তায় আদা চাষের পরিধি আরো বরবে বলে মনে করেন কৃষক ও সং¯িøষ্টরা।

ফারুক হোসেন,
গাইবান্ধা।

আরো পড়ুন : আবাসন প্রকল্পে মাটি ভরাটের ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বামনায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *