গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় সিটির ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূইয়াসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়া, বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী- সোহেল রানা, জান্নাতুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, জুলকার নাঈম আশরাফী, শাহানুর আলম ও সাইদুল ইসলাম। কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গত ১১ই ডিসেম্বর রাতে ওই নাশকতার আগে কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়ার বাসায় নাশকতাকারীদের মিটিং হয়। মিটিং করে পরিকল্পনা অনুযায়ী নাশকতা করা হয়। নাশকতার কারণে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন সহ ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিচে পড়ে গিয়ে একজন যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে সাত জন আহত হয়েছিল। রেললাইনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রেল লাইনে ওই নাশকতার আগে কাউন্সিলর হাসান আজমলের বাসায় এ বিষয়ে একটি মিটিং হয়। পরিকল্পিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই স্থানে নাশকতা ঘটানো হয়।
গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ১৩ ডিসেম্বর (গত বুধবার) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে। বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ১৩ ডিসেম্বর (গত বুধবার) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : কঠিন চাপে ইসরাইল, হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আলোচনা শুরু