গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে লাখো মুসল্লীর কন্ঠে আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামায়াতের তিন দিন ব্যাপী ‘গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা’।
আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ইজতেমা কমিটির আয়োজনে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ওয়াজিউল্লাহ। মোনাজাতে দূর দূরান্তের হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন। প্রায় ২০ মিনিটের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জেলা ইজতেমার সমাপ্তি ঘটে।
মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের নিরাপত্তা, নাজাত, শান্তি, কল্যাণ, ঐক্য, মুক্তি, আত্মশুদ্ধি এবং ইহো ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করেন মুসুল্লিরা।
ইজতেমায় জেলার ৭ উপজেলাসহ দেশের ও ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লী অংশ নেয়। এ সময় মুসল্লিরা তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি তাবলীগ জামায়াতবদ্ধ হয়ে ইসলামের দাওয়াতি কাজে বের হওয়ার অঙ্গীকার করেন।
ইজতেমার আখেরী মোনাজাতে অংশ নেন গোবিন্দগঞ্জ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ইজার উদ্দীন,পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদুসহ ৭ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেন বলেন, সুষ্ঠ ভাবে ইজতেমা পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন বলেন, ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা মুসল্লিদের নিরাপত্তাসহ কোন প্রকার বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় সেদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) ভোর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গোবিন্দগঞ্জে ‘গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা। গাইবান্ধা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জের কাটা নামক স্থানে রংপুর চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারের জমিতে তিনদিনের এই ইজতেমা শুরু হয়।
ফারুক হোসেন, গাইবান্ধা
আরো পড়ুন : মা ও শিশুর সেবায় অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের অবদান অবিস্মরণীয়