গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে মারপিট করে অর্থ ছিনতাই ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পরেছেন বাদী আঁখি বেগম। আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারকে নানা ধরণের হুমকী ধামকী প্রদর্শন করছে। তাদের ভয়ে বাদীর পরিবার নিরাপত্তহীণতা ভুগছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার লোনতলা গ্রামের আঁখি বেগম তার স্বামী লিটু মিয়ার ওপর হামলা ও তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ছিনতাই ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে একটি আবেদন করেন। এরপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত থানায় মামলা নেয়ার নির্দেশ দিলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা নথি ভুক্ত হয়।এই মামলার এজাহারে আঁখি বেগম উল্লেখ করেন তার স্বামী স্থানীয় লোনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও সে ট্রাক্টর দ্বারা ইট বালু পরিবহন ও ইট ভাঙ্গা মেশিনের ব্যবসা রয়েছে। রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের লোনতলা গ্রামের জসমত আলীর পুত্র অহেদুল কবিরাজ (৪২) ও জামাতুল্যা কবিরাজ (৫০) লোকজন দিয়ে ব্যবসায় বাধা বিপত্তি করে আসছিল। এ ছাড়াও তার স্বামীর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না পেয়ে তারা লিটুকে নানা ধরণের হুমকী ধামকী দেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে লিটু মিয়া ১ লক্ষ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে গোবিন্দগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওনা দিলে নানা ধরণের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অহেদুল কবিরাজ (৪২) ও জামাতুল্যা কবিরাজ তার লোকজন দিয়ে ঘিডাঙ্গা বাজারে তাকে থামিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে লিটু মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে মারপিট ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে এতে সে নিস্তেজ হয়ে পরলে হামলাকারীরা লিটুর মোটরসাইকেল ভাঙ্চুর করে ও তার পকেটে থাকা ১লক্ষ টাকা, মোবাইল ফোন বের করে নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামত হিসেবে ভাঙ্চুর হওয়ায় মোটর সাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন লিটুকে উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শজিমেক হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়। লিটু এখন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে মামলার প্রায় ১০দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মামলা বাদী আঁখি বেগম। আখি বেগম জানান, আসামীরা বর্তমানে তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তারা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদর্র্শন করছে। এছাড়াও এই আসামীদের হুমকী ধামকী ও মাঝে মধ্যেই লাঠি শোঠা নিয়ে মহড়ার দেয়ায় বাদীর আতœীয়-স্বজন বাড়ী ফিরতে পারছে না। তিনি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ বলেন, ওই গ্রামের দুই পক্ষের পৃথক মামলা রয়েছে। মামলা গুলির তদন্ত চলমান। আসামী না ধরার অন্যকোন কারণ নেই।
ফারুক হোসেন
গাইবান্ধা।
আরো পড়ুন : কালীগঞ্জে শাপলা বিক্রি করে চলছে অনেকের সংসার