গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনার পরেরও সেচের পানির অভাবে প্রায় ২৫ একর বোরো আবাদ করতে পারছে না কৃষক। পল্লী বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিএমডিএ কর্মকর্তা,পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমসহ ঘটনাস্থলে এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু এখনও সেচের পানি না পাওয়া ও বিদ্যুতের সংযোগের দাবিতে গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিবিষণ গ্রামের কৃষকরা।
এদিকে মানববন্ধনের আগে উপজেলা চত্বরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার ও রহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার কৃষকদের জানান, আপনারা জমি চাষাবাদ করতে পারেন সেদিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে। পাশ্ববর্তী গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে চাষাবাদ করতে বলা হয়েছে । চাষাবাদে বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে কৃষি অফিস ও ইউএনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মানববন্ধনকালে কৃষকরা বলেন, বেশীরভাগ কৃষক জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও পানির অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রশাসন দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন পাশ্ববর্তী গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে তাদের জমি চাষাবাদ করবেন। কিন্তু সময়মত পানি পাচ্ছেন না, কেউ আবার ড্রেন করতে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ভবিষ্যতে কি আদৌ পানি পাবে না পাবেন না এ জন্যই তারা এখানে এসেছেন। আর তাঁদের দাবি জমি চাষাবাদের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গভীর নলকূপে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হোক।অথবা নতুন করে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হোক। এসময় কৃষকদের মধ্যে তসিবুর রহমান, সামিউল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন , আব্দুল আওয়াল সহ প্রায় ২৫-৩০ জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (চঃদাঃ) মোঃ ছানোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, গভীর নলকূপটি একসময় সাদরুল আমিনের দায়িত্বে ছিলো। তিনি তাঁর জমি অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়ায় সাদরুল আমিন ও বিক্রেতা মিলে গভীর নলকূপটি অন্যত্র স্থানান্তর করেন। ফলে স্বাভাবিক কারণেই বিদ্যুৎ সংযোগটি বিছিন্ন হয়ে যায়। কৃষকরা তাঁদের জমি যাতে চাষাবাদ করতে পারেন এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রস্তুত। তবে উপজেলা সেচ কমিটি যদি ছাড়পত্র দেয় তবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আমাদের আর সময় লাগবে না। তাছাড়া বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুনের মন্তব্য জানতে তাঁর কার্যালয়ে এসে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আতিকুল ইসলাম আজম
আরো পড়ুন : বন্যার গানে গানে বসন্ত উৎসব