ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র কারণে ৯ জেলায় এক লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্যাদি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্বে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলের দিকে মোড় নেওয়ায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অনেক অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও রাত ৮টার মধ্যে ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ মানুষের মধ্যে বরিশালে ৪ হাজার ৪০৩ জন, ভোলায় ২৫ হাজার ৭৫৫ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ হাজার ১৯৭ জন, কক্সবাজারে ৪০ হাজার ১৬১ জন, ফেনীতে ২০৪ জন, বাগেরহাটে ৪২৬ জন, নোয়াখালীতে ২ হাজার ৭৫৩ জন, পটুয়াখালীতে ২ হাজার ৩৫০ জন এবং পিরোজপুরে ১ হাজার ৩১৮ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
এ ছাড়া ৫ হাজার ৯৭৯টি গরু-মহিষ, ৩ হাজার ৩৭৫টি ছাগল ও ভেড়াসহ ৯ হাজার ৪৪৮টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছিলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উপকূলীয় ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।
পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে বুধবার সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পরপরই ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। রাত ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরো পড়ুন : ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ যোগ দিতে ব্রাসেলস পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী