চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ নারী নারী ধর্ষণ প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ মোহাম্মদ আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বিকালে তরুণীর খালা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলায় আসামিরা হহলেন- শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ আহম্মেদের ছেলে ওমর ফারুক, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সুলতান মাঝির ছেলে মো. সোলেমান, রাজ্জাকের ছেলে মো. রাজু, মামুনের ছেলে সাকমান, নুরুল আমিনের ছেলে জোবাইদ, মৃত শেখ আহম্মদের ছেলে মো. আসিফ এবং ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ আকাশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়ায়।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া থেকে ওই তরুণী বৃহস্পতিবার বিকালে বাসে করে কর্ণফুলীর মইজ্যারটেক মোড়ে আসেন। সেখানে মো. শওকত নামে এক মাহিন্দ্রা চালকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই তরুণী চট্টগ্রামে গার্মেন্টে চাকরি করবেন বলে তাকে জানান। পাশাপাশি মাহিন্দ্রা চালককে কর্ণফুলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসা খুঁজে দিতে বলেন।

এরই মধ্যে মাহিন্দ্রা চালক বাসা খোঁজার জন্য তার বান্ধবী বিলকিস আক্তার ও বন্ধু ইমনকে ফোন করে মইজ্যারটেক মোড়ে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যা থেকে তরুণীসহ তারা কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) বিল্লাপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে আসামিরা তাদের মারধর করে তরুণীকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পেছনে তাকে ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার ও মোহাম্মদ আকাশকে গ্রেফতার করে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন : আজ থেকে উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *