দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের ভোটের মাঠ। ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে আসনটি। এবারো আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া তারা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে চলেছে। দলীয় মনোনয়ন ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে আওয়ামী লীগের। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যাই রয়েছে বেশি। এ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমান্ডে, কখনো নির্বাচনী মাঠে ছোটাছুটি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে এখানে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন বর্তমান এমপি আলহাজ দিদারুল আলম। তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
তবে তিনি ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন সীতাকুণ্ড উপজেলায়। অপরদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি সহযোগী সংগঠনগুলোকে ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আল মামুনও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এফএফ ও বিএলএফ (মুজিব বাহিনীতে ছিলেন) বর্তমানে কেন্দ্রীয় সেক্টর কমান্ডারস মুক্তিযুদ্ধ ফোরাম-৭১ এর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব রয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমি চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন প্রার্থী ছিলাম এবং ২০০১ সালেও আমি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তখন কিন্তু দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন দেবেন বলে নিজ স্বাক্ষরসহ পত্র মারফতে আশ্বস্ত করেছিলেন। এর বাইরে এবার আওয়ামী লীগ থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, ডক্টর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এ তালিকায় এবার কিছু নতুন মুখও যুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও সারা বছর দল ও জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও অনেকেই এখন ব্যানার আর পোস্টার টাঙিয়ে মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে না থাকলেও রাজপথে আন্দোলনে আছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি নেতা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের একক প্রার্থী বলে দাবি করেন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। দলীয় কর্মসূচি পালন করে রাজনৈতিক মাঠে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ দিদারুল কবির দিদার এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের নেতা আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরীকে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তিনি এখন জেলে। এ প্রসঙ্গে একাধিক জামায়াত নেতা বলেন, জামায়াতকে সরকার অহেতুক মামলা দেয়। তাদের কোনো নেতা জেল থেকে ছাড়া পেলে তাকে মুক্তি না দিয়ে আবারো জেলে পাঠিয়ে দেয়। এজন্য জামায়াত প্রচারণা চালাতে পারে না।
আরো পড়ুন : ঢাকায় লাখো ইমামের সম্মেলন করতে যাচ্ছে সরকার