বিনোদন প্রতিবেদক : এফডিসিতে চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সম্পাদকসহ ১৯ পদের কমিটির বিপরীতে মোট প্রার্থী এখন ৩৯ জন। কাজী হায়াৎ-শাহীন সুমন এবং মুশফিকুর রহমান-জাকির হোসেন—এই দুই প্যানেল থেকে ৩৮ জন। বাকি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে বেড়েছে পরিচালক ও শিল্পীদের উপস্থিতি। এফডিসিতে ভোটারদের সঙ্গে দেখা হলে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। নয়তো ভোটারদের ফোনে পাঠাচ্ছেন খুদে বার্তা।
নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য বি এইচ নিশান বলেন, ‘নিয়ম মেনেই সব প্রার্থী ভোট প্রার্থনা করেছেন। নিয়মভঙ্গের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভোটের মাঠে সুন্দর পরিবেশ বজায় আছে। আশা করছি, সুন্দর, আনন্দঘন পরিবেশেই ভোট হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট তো মনের ব্যাপার। ভোট না দিয়ে মুখে বললে তো হবে না। তাঁদের মনের খবর তো আমি জানি না। দেখা যাক কী হয়।’ নির্বাচিত হলে কী করবেন জানতে চাইলে বলেন, ‘বহুদিন ধরে শুনছি, সিনেমাশিল্প মরে গেছে। আমার কাছেও তা–ই মনে হয়। কিন্তু এই অবস্থা থেকে সিনেমার উত্তরণের তাগিদ সমিতিগুলোর তেমন একটা দেখি না। এই সিনেমা আমাকে যশ-খ্যাতি সব দিয়েছে, আরও দিয়েছে মানুষের ভালোবাসা। চোখের সামনে সেই সিনেমা এভাবে শেষ হয়ে যাবে? জয়ী হয়ে আসতে পারলে সিনেমাকে বাঁচানোই হবে আমার প্রধান যুদ্ধ।’
মুশফিকুর রহমান-জাকির হোসেন প্যানেল থেকে মহাসচিব পদে লড়ছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজ, তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার দেখেন। আমি বিশ্বাস করি, সেই দিক থেকে আমার কোনো ঘাটতি নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে এই পদে অনেকেই এসেছেন। কিন্তু বড় কোনো অর্জন আসেনি। এবার ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ দেখছি। তাঁরা আমাকে এই জায়গায় দেখতে চান।’
সভাপতি পদে মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এমনিতে মন্দাঅবস্থা ছিল। তারপর করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। আমাদের সিনেমা প্রদর্শনের জায়গা নাই। সিনেমা বানালেও সেটা দেখানোর মতো জায়গা কমে গেছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম, দেশের সব জেলায় যেন সরকারি অর্থায়নে একটি করে সিনেপ্লেক্স বানানো হয়। সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছিলো, প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছিলেন; কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এটা যাতে বাস্তবায়ন হয়, জয়লাভ করলে সেই ব্যবস্থা নেবো। দ্বিতীয়ত; চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি যেন এফডিসি থেকেও যেন অনুদান দেওয়া হয়, যেন বছরে অন্তত ২০টি সিনেমা বানানো যায়। ’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মোট ভোটার ৩৬৮ জন। সকাল ৯টা শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ, এর মধ্যে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি ছিল।
আরো পড়ুন : পেশাগত কারণে ২০২২ সালে বিশ্বে সাংবাদিক নিহত ৬৬ জন