চলনবিলে ১০০ কিমি খাল-বিল দখলমুক্ত

অনুসন্ধানী অর্থনীতি ওকে নিউজ স্পেশাল ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি দুর্নীতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচ্ছদ সফলতার গল্প হ্যালোআড্ডা

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : সিংড়া উপজেলার চলনবিলে খাল-বিল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান চলছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গত কয়েক দিনের চলমান অভিযানে চলনবিলের সিংড়া অংশের আনন্দনগর, তিশিখালী, জয়নগর, আত্রাই মরা নদী ও ত্রিমোহনী এলাকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা তিন কোটি টাকার দেশি প্রজাতির মাছ।

পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত তিন অর্থবছরে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এর মধ্যে সিংড়ার চলনবিলের ১৫৪ কিলোমিটার খাল বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে খাল কেনাবেচার অভিযোগ ওঠে। এতে চলনবিলের লক্ষাধিক কৃষক খাল খননের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চামারী ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধ অপসারণের পর আত্রাই নদীর শাখা আনন্দনগর খালের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার পানি নেমে যাচ্ছে। এ অংশে প্রায় কোটি টাকার মাছ বাঁধ দিয়ে আটকে রেখেছিল প্রভাবশালীরা। তাদের হাত থেকে খালটি দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। ওই সময় জব্দ করা হয় ডিজেলচালিত তিনটি শ্যালো মেশিন। খালটি দখলমুক্ত করতে নেতৃত্বে দেন সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান।

এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন সিংড়ার আত্রাই মরা নদী, ত্রিমোহনী খাল ও চলনবিলের তিশিখালী খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইউএনও মাহমুদা খাতুন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, বিএডিসি সিংড়া জোনের (ক্ষুদ্র সেচ) সহকারী প্রকৌশলী মানিক রতন, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের এই সাঁড়াশি অভিযান প্রশংসার দাবিদার। চলনবিলের খালগুলো দখলমুক্ত হওয়ায় কৃষকরা সহজেই জমিতে সেচ দিতে পারবে। পাশাপাশি রক্ষা পাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্য।

বিএডিসি সিংড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মানিক রতন বলেন, খাল দখলের অভিযোগ পাওয়ামাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, কিছু অসাধু জেলে বাঁধ দিয়ে নদী-নালা ও খাল-বিল শুকিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জনস্বার্থে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। একই কথা বলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন।

আরো পড়ুন : ঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রথম সরকারি সফরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *