শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুরের খানসামায় একটি উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আয়ার চাকরি দেয়ার কথা বলে ১লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার শুশুলি গ্রামের শেফালি নামের একজন চাকরী প্রার্থী ব্যক্তি।
উপজেলার জয়গঞ্জ গ্রামের শুশুলী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ গুলনাহার এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।
শেফালির অভিযোগ, তার মা শুশুলী বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিযুক্ত ছিলেন। উনার বয়সের কারণে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে ওই পদটি শূন্য থাকার কারণে উক্ত পদে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান তাকে যোগাযোগ করতে বলেন। দেখা করলে তাকে আয়া পদে চাকরি দেবেন বলে জানান সভাপতি। এরপর তাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বসে চাকরির বিষয়ে মৌখিক চুক্তি করেন। তখন স্কুলের উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আগাম টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। পরে নিজের সঞ্চয় করা ১লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মশিয়ার রহমানকে দেন ভুক্তভোগী শেফালি বেগম। এবং বাকি ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বের দিন দিবে মর্মের সময় নেয়।
তবে টাকা পাওয়ার পর আমাকে বাদ দিয়ে মোস্তফা কামালের স্ত্রীকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ প্রদান করেন এবং যা স্থানীয়রা অবগত নয়।
পরে আমি আমার দেয়া ১লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে ফেরত চাইলে তারা আমাকে টাকা ফেরত দিবেনা মর্মে অস্বীকার করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে টাকা লেনদেনের ব্যাপারে সত্যতা জানতে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমত বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্ত আবার পরবর্তীতে বলেছেন না ভাই এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা কথা, বানোয়াট কথা হয়তো।তার সঙ্গে আমাদের চাকরির বিষয়ে কোনো কথাবার্তা, টাকা নেয়া দেয়া এরকম একটা মিথ্যা অভিযোগ সে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট ও ইউএনও স্যারের কাছে করে। পরে উনারা আমাদের দুই পক্ষকে ডেকেছিল। মূলত এখানে তৃতীয় পক্ষ রনি ও তছির বিষয়টি নিয়ে ঘোলাটে করছে সাক্ষাতে হলে বিষয়টি বলা যাইতো।
এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গুলনাহার বেগম মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘কে বলেছে? আমরা টাকা নিছি? সব ভূয়া।
সত্য হইল এখন সামনা সামনি করতে হবে। আমি কারো সাথে লেনদেন করিনি।
আমার এখনো লেনদেন নাই কারো কাছে।
সামনা সামনি আসেন কথা বলি এভাবে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নাকি?,
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি ভুক্তোভুগীরা প্রমাণসহ অভিযোগ নিয়ে আসে, তবে অবশ্যই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শাহ্ আলম শাহী
দিনাজপুর।
আরো পড়ুন : তামাক কোম্পানির সহায়তায় তামাকবিরোধী গবেষণা উদ্বেগজনক!!