সিলেট অফিস: সিলেটে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সিলেট বিভাগের জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। পাম্পের মালিক-শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য ৬ দাবি আদায়ের জন্য অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনগুলো।
গতকাল বুধবার সকালে ট্যাংঙ্কলীর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক শ্রমিক পরিষদ তিনশতাধিক গাড়ি নিয়ে নগরীতে মিছিল সমাবেশ করে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে দাবি আদায়ের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এ সময় নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্মারকলিপিতে ৬ দাবি হলো পেট্রোল পাম্প ও সি.এন.জি ফিলিং ষ্টেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মালিক-শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত, শাহপরাণ থানার ওসিকে প্রত্যাহার, ফিলিং ষ্টেশন ও ট্যাংকলরীর থেকে চাঁদাবাজী বন্ধ ও দাবী মানা না হলে পেট্রোল পাম্প, সিএনজি ষ্টেশন, ট্যাংকলরী এ পি আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতী। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিভাগীয় ট্যাংঙ্কলীর মালিক শ্রমিক পরিষদের সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী।
গত ২৬ মে সকালে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পীরের বাজারে আর রহমান অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনে একদল যুবক ‘ছাত্রলীগ পরিচয়ে’ হামলা চালায় । আর রহমান অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান জানান, লাইন ভেঙে গ্যাস না দেওয়ায় কিছু দুর্বৃত্ত স্টেশনের নজেলম্যান রাজু ও বাদশার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা সংখ্যায় ৬-৭ জন ছিল। তারা নিজেদের ‘ছাত্রলীগের কর্মী’ পরিচয় দিয়ে জোর করে সিরিয়াল ভেঙে গ্যাস নিতে চায়। এসময় দায়িত্বরত কর্মচারীরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। মারধরের দৃশ্য এবং হামলাকারীদের মুখ সিসিটিভি ফুটেজে রেকর্ড রয়েছে।
এ ঘটনার পর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে স্থানীয় শাহপরাণ থানা পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনধরনের সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন সিএনজি ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি জানান, পুলিশ গড়িমসি করে একদিন পর অভিযোগ গ্রহণ করেছে। তবে শাহপরাণ থানা পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। শাহপরাণ থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ আমলে নিয়ে অভিযানে নামে। আসামীরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসলে আমাদের এখানে কিছু করার থাকেনা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রেজা জানান, এব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। পাম্পের মালিকরা অভিযোগ দেওয়ার সাথে সাথে গ্রহণ করা হয়েছে। ওসি প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, দাবি যে কেউ করতে পারে। আর ধর্মঘটের আহবান করেছেন পাম্পের মালিকরা। এটা তাদের এসোসিয়েশনের বিষয়।
সিলেট বিভাগীয় ট্যাংঙ্কলীর মালিক শ্রমিক পরিষদের সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে পেট্রোলপাম্প, সিএনজি ষ্টেশন, ট্যাংকলরী এ পি কর্মবিরতি ঘোষনা করবো।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে দু’দিনব্যাপি কর্মশালা শুরু