ছোঁ মারা পার্টির ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ

ক্রাইম নিউজ জাতীয় পুরুষ প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

আপনি হয়েতো ট্রেন বা বাস বা প্রাইভেটকারের জানালার পাশে আনমনে বসে আছেন, ঠিক তখনই কেউ আপনার সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী মুহূর্তের মধ্যেই ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো। এমনই এক সংঘবদ্ধ ছিনতাই বা ছোঁ মারা পার্টির ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন মো. মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসন, হৃদয়, মো. রাজ, মো. সুমন, সোহেল বাবু, হৃদয়, মনিরুজ্জামান, মো. নাজমুল, মো. মনির, মো. ইমরান, মো. ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, মো. আরিফ ও হাসান। এসময় তাদের হেফাজত হতে একটি নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল, ৫০টি সিমবিহীন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইলসেট, একটি ল্যাপটপ, ৪টি চাকু, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল ও নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বা ছোঁ মারা পার্টির সদস্যরা বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার কিংবা সিএনজির জানালার পাশে বসে থাকা যাত্রীদের নিকট থেকে থাবা অথবা ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়। এমনকি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও দেশীয় অস্ত্রের (চাকুর) ভয় দেখিয়ে এরা ছিনতাই করে আসছিল। এই ছিনতাইকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্যই মাদকাসক্ত। তাদের দলনেতা হলো মহাজন। ছিনতাইকারীরা যেসকল মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী ছিনতাই করে, মহাজনরা তাদের কাছ থেকে সেগুলো কম দামে কিনে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘মহাজনেরা মোবাইলসামগ্রী কিনে নেওয়ার পর প্রথমে সেটি ভেঙে এর ভেতরে থাকা ডিভাইসগুলো এক এক করে আলাদা করে ফেলে। এমনকি তারা আইএমই নাম্বারও চেঞ্জ করতে পারে এবং দামি মোবাইলের ক্ষেত্রে তারা সেগুলো বিদেশে পাচার করে দেয়। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা যেমন মহাখালী, আমতলী, কাকলী, বনানী, ঢাকা গেট, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী বাসস্ট্যান্ডে এই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বা ছোঁ মারা পার্টির সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ কায়সার রিজভী কোরায়েশী, পিপিএম-সেবা, কোতয়ালী জোনাল টিমের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

সূত্র : ডিএমপি নিউজ

আরো পড়ুন : মাগুরার নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট চুরি শুরু করেছিল বিএনপি

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *