জান্নাতের যাদেরকে সবুজ পোশাক পরানো হবে

জাতীয় ধর্ম প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

আতিকুর রহমান নগরী : পৃথিবীকে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর কুদরতি হাতে অপরূপভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর খলিফা তথা প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের দায়িত্ব ছিল মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালকের প্রতিটি সৃষ্টির পরিচর্যা ও এর সৌন্দর্যকে অমলিন করে রাখা। মানুষ তা করে না, নানা কারণে পরিপূর্ণভাবে তা পারে না। বরং প্রকৃতির বুকে নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। জগৎটাকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তারকাসমৃদ্ধ বিশাল আকাশ, দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে যাওয়া এই জমিন, দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষরাজির সমাহার ওই বনভূমি, উত্তাল তরঙ্গমালার অবাধ্য খেয়ালিপনায় ভরা বিশাল সমুদ্র, নীল আকাশের বুকে ডানায় ভর করে সুরেলা কণ্ঠে স্রষ্টার মহিমা গেয়ে, দলবেঁধে ভেসে বেড়ানো পক্ষীকুল, বনে-জঙ্গলে অবাধে ছুটে বেড়ানো প্রাণিকুল, পানির গভীরে দলে দলে সাঁতরে বেড়ানো মৎস্যরাজি, সুউচ্চ পাহাড় চূড়া থেকে পাথরের বুক চিরে নেমে আসা ঝরনাধারা কতোই না সুন্দর! আদম সন্তানের হিংস্রতা সব সুন্দরকে শেষ করে দেয়। মানুষ যখন ক্রোধের আগুনে ফুটতে থাকে, মানুষ যখন প্রচন্ড আক্রোশে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে, তখন সে সুন্দর এই পৃথিবীকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করে না।

হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো দরিদ্র মুসলমানকে পোশাক দান করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরাবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে ক্ষুধায় অন্নদান করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। যে ব্যক্তি কোনো তৃষ্ণার্ত মুসলমানকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে মোহরাঙ্কিত, সুগন্ধ জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’-আবু দাউদ ও তিরমিজি।

আরো পড়ুন : ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *