জেনে নিন কোন ৫টি অভ্যাস সম্পর্কের বুনন দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে

প্রচ্ছদ মনোকথা লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

সম্পর্ক অত্যন্ত ভঙ্গুর। একে যত্নের সঙ্গে পরিচর্যা করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন প্রচেষ্টা, ত্যাগ এবং পারস্পরিক বিশ্বাস। একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে অনেক বছর সময় লাগে। কিন্তু তুচ্ছ কোনো কারণে তা ভেঙ্গে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে দৃঢ় ও সুস্থ সম্পর্ক আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভুমিকা রাখে। একটি ভাল সম্পর্ক আপনাকে অনেক কিছু শেখাতে পারে, আমুল পরিবর্তনও আনতে পারে। অন্যদিকে একটি খারাপ সম্পর্ক থেকে পাওয়া আঘাত আপনাকে ভোগাতে পারে বহু বছর পর্যন্ত।

তাই, একটি সুখী এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস চর্চা অপরিহার্য।

১। আপনার সঙ্গীর দুর্বল জায়গা চিনুন

আপনার সঙ্গীর আঘাতের জায়গা গুলো বোঝার চেষ্টা করুন। এমন প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলুন যা আপনার সঙ্গীর পুরনো ব্যথা জাগিয়ে তোলে। ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় সেসব প্রসঙ্গ তুলে আঘাত করার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

২। একে অপরকে ক্ষমা করতে শিখুন

সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষমা করার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমাশীলতা সম্পর্কের বুনন শক্ত করে, সম্পর্ককে নতুনভাবে সুযোগ দেয়, এবং নিজেদের মধ্যেও সন্তুষ্টি আনে। সম্পর্কে ক্ষমা করার চর্চা আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায়ও ব্যাপকভাবে ভুমিকা রাখে। তাই রাগ পুষে না রেখে একসাথে বসে শান্তভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করুন।

৩। আপনার সঙ্গীর প্রশংসা করুন

সম্পর্ক পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের সঙ্গীদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করি। কিন্তু আমাদের জীবনে তাদের অবদানকে স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক তখনই মধুর হয়ে ওঠে যখন আপনি আপনার সঙ্গীর ছোট ছোট প্রচেষ্টা গুলো লক্ষ্য করেন এবং মন থেকে প্রশংসা করেন। তাকে এটাও জানান যে আপনার জীবনে আপনার সঙ্গী কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীকে যত বেশি অনুভব করবেন, আপনাদের বন্ধন ততই ঘনিষ্ঠ হবে।

৪। সঙ্গীকে নিজস্ব সময় কাটাতে দিন

প্রতিটি সম্পর্কেই নিজের জন্য কিছু সময় রাখা উচিত। ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতির সাথে বোঝাপড়ার জন্য নিজেকে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ঝগড়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। মানসিক স্বচ্ছতা, নিজের যত্ন নেওয়া এবং ব্যক্তিগত অনুভূতি্র গুরুত্ব দেওয়া যে কোনো সম্পর্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে ভালো হয় এটাকে একটি অভ্যাস বানিয়ে ফেললে। সম্ভব হলে প্রতিদিনই নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন। নিজের যত্ন নেওয়া একটি সুখী বা টেকসই সম্পর্কের চাবিকাঠি। কেননা আপনি নিজে ভালো থাকলেই কেবল অন্যকে ভালো রাখতে পারবেন।

৫। সম্পর্কে রোম্যান্সকে বাঁচিয়ে রাখুন

কোনো সম্পর্ক সবসময়ই উত্তেজনাপূর্ণ হয় না। একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা গুলো বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত। তবে সম্পর্কের চমক পুনরায় জাগিয়ে তুলতে সর্বদাই প্রচেষ্টা থাকা দরকার। একে অপরের প্রতি মনোযোগ দিন। মাঝে মাঝে একসাথে বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। সঙ্গীর ছোট ছোট বিষয়ে যত্ন নিন। সম্পর্ক চাঙ্গা রাখতে খুব বড় কিছু করার দরকার নেই, প্রয়োজন হলো একে অপরের জন্য সময় আলাদা করা। উদারতা, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়া একটি সফল সম্পর্কের ভিত্তি।

সুত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের নব নাট্যচর্চার বয়স যখন ৫০ বছর

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *