নতুন বছর অনেক নতুন আশা নিয়ে আসে। কিন্তু এবার ২০২৫ আসছে নতুন প্রজন্ম নিয়ে। ১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে যে সব শিশুরা জন্মগ্রহণ করতে চলেছে, তারা হলো ‘জেনারেশন বিটা’। ১৯২৮ থেকে ১৯৪৫ এর মধ্যে যাঁদের জন্ম তাদের বলা হয় নীরব প্রজন্ম। ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা বেবি বুমারস নামে পরিচিত। যারা ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ এর মধ্যে জন্মেছে তাদের বলা হয় জেনারেশন এক্স। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যারা জন্মগ্রহণ করেছে, তারা ‘মিলেনিয়াল’। যারা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে জন্মেছে তাদের জেন-জি বলা হয়। তাদের পরের প্রজন্ম হল জেনারেশন আলফা। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম যাদের, তারা জেন-আলফা। ২০২৫ থেকে ২০৩৯-এর মধ্যে যে সব শিশুর জন্ম হবে, তারা সকলেই জেন বিটা। ২০৩৫ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা ১৬ শতাংশ হবে এই প্রজন্ম, এমনটাই মনে করছেন গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডেল। মার্ক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি নামকরণ করেছিলেন আলফা প্রজন্মের।
কতটা আলাদা হবে ‘বিটা বেবি’দের জীবন? এই নতুন প্রজন্মের গোটা জীবনটাই প্রযুক্তি দিয়ে মোড়া হবে। ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি স্তরে ঢুকে পড়বে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তারাই জীবন পরিচালন করবে।জেনারেশন আলফা যেমন আধুনিক প্রযুক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দেখেছে, তেমনই জেনারেশন বিটা নিজে থেকেই চালিত পরিবহন ব্যবস্থা দেখবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রের আধুনিক প্রযুক্তি, যা শরীরের খুঁটিনাটির উপরে নজর রাখবে, তেমন প্রযুক্তি পরে থাকবে সর্বক্ষণ। দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অংশ হবে ভার্চুয়াল পরিবেশ। একইসঙ্গে জেনারেশন বিটা-কে জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যাপক নগরায়ন ও জনসংখ্যায় ভয়ঙ্কর পরিবর্তনের মতো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখেও পড়তে হবে। এই প্রজন্মের প্রয়োজনীয়তা,মূল্যবোধ বোঝাটা অন্য প্রজন্মের (জেন জি, মিলেনিয়াল) কাছে একটু চ্যালেঞ্জের হতে পারে। যদিও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাওয়াটা জেন জি, মিলেনিয়াল ও জেন আলফার কাছেও চ্যালেঞ্জের।
সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস