টর্চার সেলে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে যুবককে হত্যা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ পুরুষ পুরুষ নির্যাতন প্রচ্ছদ রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : টর্চার সেলে সারারাত আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যুবক রাসেলকে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান।

এদিকে রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিন রাব্বিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউকেই বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রশ্রয় দেন না। নেতৃবৃন্দ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাসেল নামে যুবকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত আফতাব উদ্দিন রাব্বিসহ সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কেরানীগঞ্জের চরকালিগঞ্জ এলাকায় চাঁদাবাজির টাকার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আফতাব উদ্দিন রাব্বি ও তার সহযোগীরা মঙ্গলবার সারারাত নির্যাতন করে রাসেলকে হত্যা করে। রাব্বির বাবা শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী বাসের উদ্দিন।

নিহতের স্বজনরা জানান, রাসেলকে হত্যার পর বুধবার সকালে লাশ একটি বস্তায় ভরে স্ত্রী সুমীর কাছে নিয়ে আসে হত্যাকারীরা। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দিয়ে লাশ রেখে তারা চলে যায়। এরপর রাব্বির বাবা বাসের উদ্দিনের উদ্যোগে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ওই বাসা থেকে লাশ নিয়ে গোসল করিয়ে দাফনের চেষ্টাকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা তোফাজ্জল হাওলাদার বাদী হয়ে রাব্বিসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

রাব্বির পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কিত নিহতের স্বজনরা।

নিহতের ছোট বোন নাজমা বলেন, হত্যাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের লোক ও অঢেল অর্থের মালিক হওয়ায় সব ম্যানেজ করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মামলা করেও আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।

নিহতের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার সুমি জানায়, আমার পরিবার নিয়ে ভীতিকর অবস্থায় আছি। আসামির আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্নভাবে হুমকি ও প্রলোভন দিচ্ছে। অনেক আসামি এলাকায় আছেন, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে। মোবাইল বন্ধ করে রাখায় গ্রেফতারে সময় লাগছে।

আরো পড়ুন : শপথ নিয়েই জিপির নামে চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিলেন এমপি

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *