টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনি মাঠের সমীকরণ ততই পরিবর্তন হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সম্ভাব্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিভিন্ন এলাকায় উঠোন বৈঠক, কর্মিসভা, আলোচনা সভাসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে রয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তারা রয়েছেন অনেকটা দোটানায়। যদিও কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও রাখছেন। অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল বলেন, বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনে রয়েছে। এই সরকার পতনের পর নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। তবে আন্দোলন ও নির্বাচন দুদিকেই তাদের প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জেলার আট আসনেই বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হবে।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) : এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। টানা চারবার ক্ষমতায় থাকায় এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। তাই আওয়ামী লীগে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাকই ভরসা। তবে তিনি ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে চান আওয়ামী লীগের মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু। হাইকমান্ড থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে এ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, সাবেক এমপি ও ডাকসু নেতা খন্দকার আনোয়ারুল হক, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও কেন্দ্রীয় নেতা সুরুজ্জামান। জাতীয় পার্টি থেকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান মিন্টু, সার্জেন্ট মোহাম্মদ আলী, ফেরদৌস আহমেদ পিন্টু, ধনবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সম্পাদক মোজাম্মেল হক মজনু, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আব্দুল হান্নান লাঙ্গলের মনোনয়ন চাইতে পারেন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) : আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ থাকায় এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে কোন্দল রয়েছে। এ কারণে আসনটিতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। বর্তমান এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির এবারও নৌকার মনোনয়ন চান। এদিকে নৌকার মনোনয়ন পেতে গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পদত্যাগ করে বিশাল শোডাউন করেছেন। ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল আলম মাসুদও বড় শোডাউন করেছেন। ঠান্ডু ও মাসুদ দুজনই একসঙ্গে সভা, সমাবেশ করে যাচ্ছেন। উল্লিখিত ৩ জন ছাড়াও নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাবেক এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল। তবে কর্মীদের মাঝে বিরোধ নেই উল্লেখ করে এমপি ছোট মনির বলেন, ভূঞাপুরের উন্নয়ন দেখে দলীয় কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করি। অন্যদিকে নির্বাচনের ব্যাপারে হাইকমান্ডের সিগন্যাল পেলে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমায়ন তালুকদার লাঙ্গলের প্রার্থী হতে পারেন। জাকের পার্টির টাঙ্গাইল পশ্চিমাঞ্চল কমিটির সভাপতি এনামুল হক মঞ্জুও নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) : এ আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল রয়েছে। এমপি আতাউর রহমান খানের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের মূলধারার নেতাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। ছেলে আমানুর রহমান খান রানার নেতৃত্বে চলছে এমপির অনুসারীরা। তবে এমপির কর্মসূচিতে অংশ নেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে দলীয় কর্মসূচিতে এমপির অনুসারীরা থাকেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে আছেন। এ আসনে বর্তমান এমপি আতাউর রহমান খান ও তার ছেলে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ছাড়াও নৌকার বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এস আকবর খান। অন্যদিকে বিএনপি থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী চারবারের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাছির, কৃষক দলের সদস্য মাইনুল ইসলাম ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া প্রার্থী হতে পারেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রনি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আতিকুর রহমান।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) : এ আসনে এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। এ লক্ষ্যে তিনি গণসংযোগ করছেন। এছাড়া ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মামুদ। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত শাজাহান সিরাজের মেয়ে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। এছাড়া জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) : এ আসনে বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তারা হলেন যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, তিনবারের সাবেক পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, জেলা বিএনপির সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ খালেদ মোস্তফা ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন। এদিকে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকে শিল্পপতি সাবেক এমপি আবুল কাশেম, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সালাম চাকলাদার ও সম্পাদক মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রার্থী হতে চান।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) : এ আসনে বর্তমান এমপি আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তারা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি তারানা হালিম, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান হিমু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এটিএম কাজী আনিসুর রহমান বুলবুল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব ওরফে মুন্না, ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক লায়ন এম শিবলী সাদিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ আবদুর রহিম ইলিয়াস ও ইনসাফ আলী ওসমানী।
ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী ইমাম তপন, কেন্দ্রীয় জাসাস নেতা শরিফুল ইসলাম স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা মো. রবিউল ইসলাম লাভলু, ইকবাল হোসেন খান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, সাবেক ছাত্রনেতা মো. শরিফ উদ্দিন আরজু। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহিম সুমন।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) : এ আসনে বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খান আহমেদ শুভ এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই (সানি)। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদ সোহরাব। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির ও নুরুল ইসলাম নুরু মনোনয়ন চাইবেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা ভোটের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া রূপা রায় চৌধুরী ও বাম দলের গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এমপি খান আহমেদ শুভ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে জনগণ নৌকার পক্ষেই রয়েছে। মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তাকেই পুনরায় এমপি হিসাবে দেখতে চান।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) : এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম প্রার্থী হওয়ায় এ আসনটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এবারও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, ভিপি জোয়াহের এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করেছেন। টাঙ্গাইল-৮ আসনে ভিপি জোয়াহেরের কোনো বিকল্প নেই। আশা করি তিনি এবারও নৌকার মনোনয়ন পাবেন। ভিপি জোয়াহের বলেন, ইতোমধ্যে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে পুনরায় নৌকার মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছে। এছাড়া সখীপুর ও বাসাইলের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন পুনরায় আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এ আসনে ভিপি জোয়াহের ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, সাবেক এমপি সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক অনুপম শাহজাহান জয় এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ। কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম জয়নাল আবেদীন ও কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আশরাফ সিদ্দিকী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
আরো পড়ুন : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে গুজব শক্তিশালী, অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী