টানা ভারি বর্ষনে সয়লাব হয়ে গেছে অন্ততঃ ১৪ টি জেলা

ওকে নিউজ স্পেশাল জনদুর্ভোগ জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

 ৫২ বছরে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ বর্ষণ, টাঙ্গাইল নাটোর ফরিদপুর সিরাজগঞ্জ হবিগঞ্জ নেত্রেকোনায় হাঁটুপানি, ঢাকায় তিন দিনে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি 

বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ুর বিদায়লগ্নে আশ্বিনের শেষভাগে এসে দুইটি স্থল নিম্নচাপের একত্র প্রভাবে দেশের বিশাল অংশজুড়ে চলছে টানা ভারি বর্ষন। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো টানা তুমুল বর্ষনে সয়লাব হয়ে গেছে অন্ততঃ ১৪ টি জেলা। এর মধ্যে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নাটোর, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, যশোর, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, সিলেট অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৫২ বছরে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ বারিপাত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে চলতি বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল দিনভর বৃষ্টি ছিল ঢাকায়ও। রাতে নামে তুমুল বর্ষা। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এর আগে ময়মনসিংহে ১৯৭১ সালে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো। গত দু-দিন ধরে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। এত বেশি বৃষ্টি ভরা বর্ষা মৌসুমেও হয়নি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঢাকায় তিন দিনে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইলে ২৩৫,ফরিদপুরে ৩৩৬,সিরাজগঞ্জে ১৮১,হবিগঞ্জ ২৮৬, নেত্রকোনায় ২১০,জামালপুরে ১৭৫,যশোরে ১৩৫,মৌলভীবাজ রে১৬২,সুনামগঞ্জে ১৩৩,বগুড়ায় ৯৩,পাবনায় ৮৩,সিলেটে৯৮ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় উজানের ঢল হ্রাস পাওয়ায় পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তিস্তার পানি সমতলে কমলেও বৃস্টি অব্যাহত থাকায় আবারো বৃদ্ধির আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে টানা ভারী বর্ষণের কারনে বর্ষন কবলীত অঞ্চলগুলোতে জীবনযাত্রা স্থবির এবং বিঘ্নিত হচ্ছে।রাস্তা ঘাট হাটবাজার,খাল বিল নদী নালা পুকুর রাস্তাঘাট সব পানিতে উপচে পড়ছে। শাক-সব্জি,বাগান-ফসলের অকল্পনীয় ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষজন ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। দোকান-পাট,ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মালামাল বিনস্ট হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন।নিম্নআয়ের মানুষ-কায়িক শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরে রান্নাবান্না করতে পারছেন না অনেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান,আরো তিন দিন বিভিন্ন জেলায় বৃস্টির তীব্রতা থাকতে পারে। সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টি চলবে আরো কয়েকদিন। দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন,দুইটি স্থল নিম্নচাপ একত্র হয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় মূলত বৃষ্টি বেড়ে গেছে। ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর থেকে আসা মেঘ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর জেট স্টিমের কারণে তা আরও শক্তি অর্জন করছে। ভারতের সিকিম হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে রাজশাহীতে ঢোকে। আর তাই বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে দশ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ময়মনসিংহ হয়ে কিশোরগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে সিলেটের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ফলে আজ ও আগামীকাল ওই এলাকায় ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে শুরু করেছে। মৌসুমি বায়ুর অগ্রভাগ এবং পশ্চাত্ ভাগে জলীয় বাষ্প এবং মেঘ বেশি থাকে। ফলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে এটি যখন টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন প্রচুর বৃষ্টি হয়। আর উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যায় তখনো প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তা বাংলাদেশ ভূখ্ল ছেড়ে যায়। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর থেকে আসা নিম্নচাপের কারণে এটি এবার শেষ সময়ে এসে আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। যে কারণে বাংলাদেশের ভেতরে প্রচুর জলীয় বাষ্পসহ মেঘ জড়ো হয়ে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ঘাট, দোকান পাট ও নীচু এলাকা। পানিতে ভেসে গেছে জেলার বহু পুকুর। সড়কের ও ড্রেনের ময়লা পানি শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকেছে। পানি ঢুকেছে নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। ঘরে ঘরে পানির প্রবেশের কারনে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন নীচতলা কিংবা একতলার বাসিন্দারা। রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সংকট দেখা দেয় রিক্সা, অটোরিক্সা ও গণপরিবহনের। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে নগরীর গাঙ্গিনারপাড়, ব্রাহ্মপল্লী, কালিবাড়ি বলাশপুর, ভাটিকাশর, কেওয়াটখালী, চরপাড়া, নয়াপাড়া, পুরহিতপাড়া, সানকিপাড়া, গুলকিবাড়ি, নতুনবাজার, কাচিঝুলি, আকুয়া এলাকার চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এসব এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। অনেক বাসায় পানি প্রবেশ করায় বাড়ীর দুতলায় বা আত্নীয় স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পানি নিষ্কাশনে সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ টীম রাত থেকেই কাজ শুরু করে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহে ৩শ ৭৮ মিলি মিটার এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পযর্ন্ত ১৭১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ নগরের বেশির ভাগ সড়কে ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় বাড়িতেও এখনো পানি জমে আছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ময়মনসিংহ নগরের বাসিন্দারা। এমন অবস্থা পুরো নগরজুড়েই। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, বৃষ্টি কিছুটা কমায় পানিও কমতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে একটি টিম কাজ করছে।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা জেলায় গত তিনদিনের অবিরাম ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে জেলার দশ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির আমন জমি তলিয়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগের হিসাব মতে ১১৪৮২ হেক্টর আমন জমি তলিয়েছে। এদিকে অব্যহত বর্ষনের কারনে জেলার কংস, সোমেশ্বরী, ধনু এবং মগড়া নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সকল নদীর পানি গতকাল শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বিপদ সীমার নীচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, নেত্রকোনা, মদন, কেন্দুয়া এবং বারহাট্টায় নিম্ন্ঞ্চলের বাড়ি ঘরে বন্যার পানি ঢুকায় ওেলাকজন কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।

যশোর অফিস থেকে জানান, দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে যশোর শহরের অনেকস্থান তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। বাসাবাড়ি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ড্রেনের নোংরা পানি ঢুকে পড়েছে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন ধীরগতি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন হয় শহরের দক্ষিণ পাশের বিল হরিণায়। সেখান থেকে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু গত চার বছর বিল হরিণায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেন পৌরসভা পরিষ্কার না করায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। যশোর বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ৩৫ মিলিমিটার ও বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, স্মরণকালের একটানা ভারি বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অথৈয় পানি জমে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টি থাকায় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় পাকা ও কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ্য লোকজন জানায়, গত বুধবার (৪ অক্টোবর) থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও সঙ্গে হালকা বাতাস শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুষল ধারে বৃষ্টি এবং সঙ্গে ঝড়ো বাতাস। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের ফলে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপজেলার পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগি লোকজন অভিযোগ করেছেন। আজ শুক্রবার ভোর রাতে গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া-লালবাড়ি রাস্তা ভেঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ঐ এলাকার লোকজনের দুর্ভোগের শেষ নেই। একই ভাবে উপজেলার ধল্যা-বরাটী, শুভুর্যা-বরাটী, কুরনী-ফতেপুর, বরাটী-তেঘুড়ি, তালতলা-বালিয়াজান, পেকুয়া-অভিরামপুরসহ ১০-১২টি রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে বৃষ্টির পানি জমে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে হাটু পরিমান পানি জমে থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও আঞ্চলিক সংযোগ সড়ক ও বসতবাড়ি এবং মার্কেটে পানি ঢুকে পড়েছে। শহরের শিববাড়ি-রাজবাড়ি সড়কের রেল গেইট, পোষ্ট অফিস রোড এবং জয়দেবপুর-টঙ্গী-বনমালা সড়কের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল দুপুরে এসব এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা পশ্চিম পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও বৃষ্টির পানি জমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নগরীর কোনাবাড়ির পশ্চিম বাইমাইল এলাকায় দেয়াল ধ্বসে নিহত হয় ফরিদুল ইসলাম নামে ৬ বছরের এক শিশু।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নাটোর পৌরসভায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিচু এলাকার বাসিন্দারা। পৌরসভার ‘নয়নজলি’ খ্যাত খাল ভরাট ও বেদখল হয়ে যাওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন : মেঘনায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী-শিশুসহ নিখোঁজ ৬

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *