স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অনেক যাত্রী। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনটি কমলাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামলে সেখানে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ট্রেনটিতে কোথায় কীভাবে আগুন লাগে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি। দুর্বৃত্তরা ট্রেনটিতে আগুন লাগিয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তেজগাঁও স্টেশনে থামার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ট্রেনের বগিতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় চারটি তাজা প্রাণ। অগ্নিকাণ্ডে যে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের দু’জন অজ্ঞাত পরিচয়ধারী। আর দু’জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার (৩২) ও তার শিশু সন্তান ইয়াছিন রহমান (৩)।
মা-ছেলের এই মৃত্যু সারা দেশের মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ উদ্ধারকর্মীরা যখন ট্রেনের বগি তল্লাশি করতে যান তখন এই নিহত নাদিরা তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে আগুনের ভয়াবহতা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে তাকে বুকে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু তাদের দু’জনেরই প্রাণ চলে যায়। ট্রেনের ভয়াবহতায় তারা যেরকম এক সঙ্গে ছিলেন তেমনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের বাইরেও তাদেরকে সাদা ব্যাগে একইভাবে লাশের সারিতে রাখা হয়েছিল। স্বজনরা জানিয়েছেন, নাদিরার সঙ্গে তার ছেলে ছাড়াও আরেক ছেলে ও তার ছোট ভাই ছিল। আগুন লাগার পর ঠেলাঠেলি করে তার ছোট ভাই ও বড় ছেলে নামতে পারলেও তারা নামতে পারেননি। অজ্ঞাত পরিচয়ধারী দু’জনের শরীর এতটাই পুড়ে গেছে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদেরকে শনাক্ত করা সম্ভব না। তাদের একজন নেত্রকোনার বিএনপি নেতা রশিদ ঢালি বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়ার আগে সেখানে নতুন করে কিছু যাত্রী উঠেন। বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে যাত্রীবেশে উঠে খিলক্ষেত এলাকা পার হওয়ার পর আগুন লাগার বিষয়টি যাত্রীরা টের পান। এরপর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ট্রেনের যাত্রী নূরুল হক দাবি করেছেন, তার ধারণা ট্রেনের পোশাক পরে দুই ব্যক্তি আগুন লাগাতে পারে। তারা প্রথমে আগুন লাগা বগিতে হাঁটাহাঁটি করছিল এবং নিজেদের মধ্যে কিছু বলাবলি করছিল। তাদের হাতে ফায়ার এশটিংগুইশার ছিল।
কেন কীভাবে ট্রেনে আগুন লাগে এ বিষয়ে এ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মিলেনি। এর আগে একই ট্রেন গাজীপুরে নাশকতার শিকার হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে নজরদারি শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, কোন এলাকায় ট্রেনে আগুন লেগেছে এ নিয়ে জটিলতা কাটছে না। অনেকে বলছেন, বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে এসে খিলক্ষেত এলাকা পার হওয়ার পর আগুন লাগে। আবার কেউ কেউ বলছেন, তেজগাঁওয়ে এসে আগুন লেগেছে। পুলিশের একটি সূত্র যাত্রীদের বরাত দিয়ে বলেছে, খিলক্ষেতের পরে আগুন লেগেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যদি খিলক্ষেতের পরে আগুন লাগে তবে চালক কেন তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামালেন। চালক চাইলে আগেও ট্রেন থামাতে পারতেন। এতে করে যাত্রীরা আরও আগে নেমে যেতে পারতেন। কারণ চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে পারছিলেন না যাত্রীরা। তাই অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে আহত হয়েছেন।
শিশু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে পুড়ে অঙ্গার হলেন পপি: দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন নাদিরা আক্তার পপি। নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেছিলেন তারা। দীর্ঘ ষোল দিন পর স্ত্রী ও সন্তানদের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন মিজানুর রহমান। পপির বড় ছেলের পরীক্ষা শেষে বেড়াতে গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়িতে। ট্রেনের বগিতে লাগা ভয়াবহ এই আগুনে ছোট সন্তানকে বুকে জড়িয়ে পুড়ে অঙ্গার হন পপি। প্রাণ বাঁচাতে তার বড় সন্তানকে নিয়ে নেমে পড়েন সঙ্গে থাকা পপির ভাই হাবিব। বেরুনোর সময় আঘাত পেয়ে আহত হন তারা। এই ট্রেনে একই সময়ে উঠেছিলেন তাদের পরিবারের নয় সদস্য। এরমধ্যে পাঁচজন নেমে যান বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে বাকরুদ্ধ পপির স্বামী মিজানুর রহমান স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন।
রাজধানীর পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন মিজানুর। তেজগাঁও এলাকায় হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন তিনি। তার বড় ছেলে রিয়াদ হাসান ফাহিম স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩রা ডিসেম্বর দুই সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যান। সেখান থেকেই মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের নয় সদস্য। তাদের মধ্যে পাঁচজন বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নেমে যান। বাকি চারজনের নামার কথা ছিল কমলাপুর রেলস্টেশনে। আগুন লাগার পর পপির ছেলে ফাহিমকে নিয়ে কলেজপড়ুয়া ভাই হাবিবুর ট্রেন থেকে নেমে যান। কিন্তু পপি ও ইয়াছিন আটকা পড়েন। সেখানেই দগ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের লাশ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা। স্বজনেরা এক এক করে ছুটে এসেছেন হাসপাতালে। সেখানে থাকা নিহত নাদিরার স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা কেন আমার সঙ্গে ঘটলো। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমি কারও কাছে বিচার চাইবো না। আমি শুধু আমার স্ত্রী-সন্তানের অক্ষত লাশ ফেরত চাই। রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠার পর আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। আজ ভোর পাঁচটার দিকে নাদিরার ভাই হাবিবুর ফোন করে আগুন লাগার খবর দেন। তখন তেজগাঁও রেলস্টেশনে যাই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন চারটি লাশ নামায় তখন দেখি আমার স্ত্রী-সন্তান পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। এই দৃশ্য আমি কীভাবে মেনে নিবো? আমার আরেকটি ছেলে মা ছাড়া কীভাবে থাকবে। তাকে কি বলে সান্ত্বনা দিবো।
নিহত পপির দেবর দেলোয়ার হোসেন টিটু বলেন, সবাই যদি বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যেত তাহলে ভাবি ও বাচ্চাটি বেঁচে যেত। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো।
৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন বলেছেন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেই হয়তো দুর্বৃত্তরা ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে। ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, ট্রেনে আগুনের কারণ জানতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে। পেট্রোল নাকি গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এ ঘটনায় পিবিআই, র্যাব, রেলওয়ে পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট তদন্ত শুরু করেছে।
রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের সুপার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেনের দুই বগির সংযোগস্থলে প্রথমে আগুন দেখতে পান রেলওয়ে স্টাফরা। তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি দুটি কোচে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে অনেকে তাড়াহুড়ো করে নামার চেষ্টা করেন। আবার ভোরের ঘুমের ঘোর নিয়ে অনেকে শুরুতে বুঝতেই পারেননি কী ঘটতে যাচ্ছে। তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি খিলক্ষেতে এলে যাত্রীরা বগিতে আগুন দেখতে পান। তারা চিৎকার শুরু করলে চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো-দক্ষিণের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ৬-৭-৮ নম্বর বগিতে একযোগে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা করেছে এই বিষয়টি এখনো আমরা নিশ্চিত না। সবগুলো স্টেশনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা যাচাই করে দেখছি। যাদেরকে আমাদের সন্দেহজনক মনে হবে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। র্যাব-২ এর সিও মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না হলে কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে নাশকতাকারী যে বা যারাই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।
তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যে তিনটি বগিতে আগুন দেয়া হয়েছে সেগুলো শোভন চেয়ার। এই ট্রেনটি কখনো তেজগাঁও রেলস্টেশনে থামে না। আমাদের স্টেশনের লোকজন এটিতে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ডেঞ্জার সিগনাল অন করে দাঁড় করায়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ডেঞ্জার সিগনাল চেপে ট্রেনটি দাঁড় করানো স্টেশনটির সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. পর্বত আলী বলেন, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা অতিক্রম করছিল। আমি ট্রেনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর সিগনাল ক্লিয়ার আছে বলে সংকেত পাঠাই। ৪টা ৫৮ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার আগ মুহূর্তে আমি দেখতে পাই, বগিতে ধোঁয়া। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে ডেঞ্জার সিগনাল অন করি। সিগনাল পেয়ে দ্রুতই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। এসময় জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে কল করলে দ্রুতই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নির্বাপণ শুরু করে। মো. পর্বত আলী আরও বলেন, ট্রেন থামার পর যাত্রীরা চিৎকার করতে করতে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর দেখি ফায়ার সার্ভিস একটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন বুঝতে পারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রীও মারা গেছে। পরে আরও ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত হওয়ার ঘটনাও দেখেছি।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ মো. সালাউদ্দিন বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনের আসার সময় বিপরীত পাশের লেনে বলাকা এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেন যাত্রী উঠানোর জন্য এখানে ছিল। এজন্য মোটামুটি লোকের আনাগোনাও ছিল। এরইমধ্যে আগুন লাগার ঘটনা দেখে আমাদের স্টাফরা ফোন করে জানায়। পরে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি ৩টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের চা-দোকানি মো. রিয়াজ বলেন, ভোরে হুট করেই লোকজন আগুন আগুন, বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি যে যেভাবে পারছে, ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামছে।
নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান ওই ট্রেনের প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলেন। তিনি বলেন, তেজগাঁও স্টেশন এসে ট্রেন থামে। তখন অনেক যাত্রী নেমে যান। আমাদের পেছনের সিটে থাকা দুজনও নেমে যায়। পরে ট্রেন চলতে শুরু করা মাত্রই পেছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। আমি দৌড়ে ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে যাই। আমার সামনে নাদিরা ও নাদিরার কোলে ছিল ইয়াসিন। ধোঁয়ার কারণে আমি ফাহিমকে নিয়ে অন্য বগি দিয়ে দ্রুত নেমে পড়ি। নামার পরপরই তাদেরকে খুঁজতে থাকি। কিন্তু তাদেরকে পাইনি।
আরো পড়ুন : প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক