স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করেছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। ৪ঠা জুলাই হওয়া ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক। ওইদিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জোর দিয়ে বলেছিলেন ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন। আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কিনা। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব। ভোটের দিনের বিকালে ডিএমপি কমিশনারের ওই প্রতিশ্রুতি আর বক্তব্য আবার আলোচনার বিষয় হয়ে ফিরে আসে। ওই নির্বাচনী এলাকার বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে বেলা ২টার দিকে পরিদর্শনে যান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।
তিনি এই কেন্দ্রের ভোটারও।
ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। ডিএমপি কমিশনার এই কেন্দ্রটি থেকে বের হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে যান নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। তারা তাকে ঘিরে ধরে নানা অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা তাকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ঘিরে ধরে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
এরপর তার ওপর হামলা চালান নৌকার সমর্থকরা। হামলার সময় পুলিশের একজন সদস্যকে একজন সাংবাদিক বলেছিলেন, হিরো আলমের ওপর হামলা হচ্ছে। আপনারা কি করছেন। জবাবে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, তার ভেতরে দায়িত্ব। বাইরের দায়িত্ব তার না। হিরো আলমের ওপর হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে পুলিশের সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ বলছেন একজন প্রার্থীকে এভাবে রাস্তায় ফেলে মারধর করার পর কি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলা চলে। আর সুষ্ঠু যদি না হয়ে থাকে তাহলে ডিএমপি কমিশনার এখন কি তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন।
আরো পড়ুন : এখন কী বলবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার?