রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চুরি ও ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়ে সেখানে চুরি ও ছিনতাই করতেন বলে স্বীকার করেছেন তারা। নিজেদের পেশা হিসেবে তারা রাজনীতি উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- মো. হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান (৪৫), মো. হারুন-অর-রশীদ (৩৯), মো. সোহেল (৩২), মো. এনামুল হক (৩৮) ও মো. নূর ইসলাম (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, গত বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি ও ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই চক্রের পাঁচ সদস্য স্বীকার করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে চুরি ও ছিনতাই করতেন। নিজেদের বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন তারা।
হারুন অর রশীদ বলেন, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা দোষারোপ করার জন্য বলছি না, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তোমাদের পেশা কি? তখন তারা বলেছে, আমরা রাজনীতি করি।
গ্রেপ্তার পাঁচজন অন্য কোনো দলের সমাবেশে যান কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, তারা বিএনপির রাজনীতি করেন। বিএনপির সমাবেশ হলেই সেখানে তারা যান। তাদের কাছ থেকে ১৮টা মুঠোফোন পেয়েছি, এসব মোবাইল তারা বিএনপির সমাবেশ থেকে না কি রাস্তা থেকে ছিনতাই করেছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তাদের কোনো পদ-পদবী আছে কি-না প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের কোনো পদ-পদবী নেই বলেই জেনেছি। বিএনপির কর্মী হিসেবে সমাবেশে যোগ দিয়ে টাকার প্রয়োজনে তারা চুরি ও ছিনতাই করছিলেন।
আরো পড়ুন : বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান