স্টাফ রিপোর্টার: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগাম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দেয়ার পরিকল্পনা আছে। আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে সিইসি বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে সেপ্টেম্বরের আগে এটা হওয়ার কথা নয়। আমরা এখনো স্থির করিনি। তবে অনুমান করে বলতে পারি সেপ্টেম্বরের কোনো একটি সময়ে শেষের দিকে বা মাঝামাঝি সময়ে আমরা তফসিল ঘোষণা করবো।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেপ্টেম্বর তফসিল দেয়া সম্ভব নয়। এটি তাৎক্ষণিক অনুমান করে বলা। আমরা তফসিল এবং ভোটগ্রহণের মধ্যে একটি বড় সময় রাখতে চাই। কেননা রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়ার বিষয় আছে। এসব প্রস্তুতির জন্য একটি সময় দেয়া হবে।
সিইসি আরও বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর নতুন গঠিত আইন সভার প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের ১২৩ (৩) (ক) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে ভেঙ্গে যাওয়ার পূববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
সংবিধানে আগাম নির্বাচনের বিধানও আছে। তবে সংসদ ভেঙ্গে আগাম নির্বাচন দিতে হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী ৯০দিন নির্বাচন আয়োজনের সময় পায় ইসি। অর্থ্যাৎ, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৯০ দিনের সময় পায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আরো পড়ুন : ডেঙ্গুতে ২৪ ঘন্টায় প্রাণহানি ১০, হাসপাতালে ভর্তি ২ হাজার ৩৬১ জন