দুই বছরের শিশু নুসরাত। সারাক্ষণ ঘর মাতিয়ে রাখতো। তার চঞ্চলতায় মুগ্ধ থাকতেন বাবা-মা। তিন ভাই-বোনের ছিল খেলার পুতুল। পৃথিবীকে চিনে উঠার আগেই নিভে গেল তার জীবনের আলো। ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে তার জীবন। পরিবারের সবাইকে রেখে গেছে কষ্টের সমুদ্রে। ২৭শে আগস্ট নুসরাতের জ্বর আসে। জ্বরের তাপমাত্রা খুব বেশি ছিল না। ডেঙ্গু টেস্ট করে পজিটিভ আসে।
রক্তের প্লাটিলেট ছিল ৫৩ হাজারের মতো। পরের দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করে। নুসরাতের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রয়োজন হয় আইসিইউ’র। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আইসিইউ পেলেও সেখানে নিতে পারেন নি তাকে। তার আগেই ডেঙ্গুর কাছে হেরে যেতে হয় ছোট এই শিশুটিকে। নুসরাতের বাবা শাহীন মিয়া মানবজমিনকে বলেন, অনেক আদরের মেয়ে ছিল আমার। ২৯শে আগস্ট রাত ১২টার সময় মারা যায় নুসরাত। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায়। পরিবার নিয়ে ঢাকার কচুক্ষেতে থাকি। রোববার প্রথমে মেয়ের হালকা জ্বর আসে। ডাক্তার নাপাসহ বেশ কয়েকটি মেডিসিন লিখে দেন এবং ডেঙ্গুর জন্য টেস্টের কথা বলেন। ওই সময় মেয়েকে নিয়ে ডেঙ্গু টেস্ট করার জন্য স্যাম্পল দেই। রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। আর পরেরদিন প্লাটিলেটের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায় প্লাটিলেট ৫৩ হাজার নেমে এসেছে। তিনি বলেন, অনেকের পরামর্শে মেয়েকে নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাই। সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে ভর্তি করি। তখন চিকিৎসক বললেন- রোগীর অবস্থা বেশি ভালো না, আবার খারাপও না। একটা ইনজেকশন দিতে হবে। মেয়ের প্রেসারও কম ছিল। রাত ১টায় ইনজেকশনটা দেয়া হয়। ওইদিন সারারাত আমার মেয়ে একটুও ঘুমায়নি। কেমন যেন পাগল পাগল ভাব করেছে। এরপর সকালে আরেকটি ইনজেকশন দেয়া হয় মেয়েকে। কিছুক্ষণ পরে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে মেয়ের জন্য আইসিইউ ব্যবস্থা করতে বলে। তখন আত্মীয়-স্বজনকে ফোন দিয়ে আইসিইউ ব্যবস্থা করতে বলি। মোহাম্মদপুরে একটি হাসপাতালে আইসিইউ’র খোঁজ পাই। আমার স্ত্রীকে বলি আইসিইউ পাওয়া গেছে মেয়েকে নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে এসো। তখন আমার মেজ মেয়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে আব্বু নুসরাত তো আর নেই। এরপর আমি দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে কোলে নেই। দেখি মেয়েটি আমার আর নেই। কীভাবে মেনে নেবো সন্তানের এই মৃত্যু।
শুধু নুসরাত নয়, প্রতিদিন ডেঙ্গুতে প্রাণ যাচ্ছে ছোট-বড় অনেকের। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় মানুষগুলো। সন্তানদের হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেক পরিবার। আবার কেউ কেউ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে হয়ে গেছেন নিঃস্ব। কেউ হারিয়েছেন বাবাকে, কেউবা মাকে। অনেকে ধার-দেনা করে করিয়েছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্বজনদের চিকিৎসা। ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত মানুষ। এ বছর দেশে শতাধিকের বেশি শিশু মারা গিয়েছে। সন্তানদের কতো শত স্মৃতি বারবার তাড়া করছে বাবা-মা’দের। সামান্য মশার কামড়ে নিভেছে জীবনের প্রদীপ। কেড়ে নিয়েছে শত শিশুর জীবন। এসব শিশুর বই, খাতা, খেলনা, পোশাক পরিবারের কাছে তা এখন কেবলই স্মৃতি। এই স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে কষ্টের শ্বাস নিচ্ছেন আদরের সন্তান হারানো বাবা-মা। ছোট ছোট এই মুখগুলোর হাসি, খুশি আর আনন্দে মুখরিত থাকতো ঘর। সেই ঘর এখন প্রাণহীন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের গত ৯ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শতাধিকের বেশি শিশু মারা গেছে।
এখন আমার ঘর শূন্য: ৩ বছর বয়সী আনিলা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে মারা যায়। সেখানে চারদিন ধরে আইসিইউতে ভর্তি ছিল। শিশুটির দুই বছর বয়সী ভাই আয়ান। আনিলা মারা যাওয়ার পর সেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তাদের বাবা অতল রোজারিও বলেন, মেয়ের সন্ধ্যায় জ্বর আসে। আলরাজি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরের দিন টেস্ট করিয়ে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। সেখান থেকে শিশু হাসপাতালে নেই। সেখানে প্রেসার কমের কথা জানান চিকিৎসক। তার আগে প্লাটিলেট ১ লাখ বিশের মতো ছিল। মেয়ের আইসিইউ লাগবে বলেও জানান। কিন্তু ওই হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড ছিল না। এরপর অনেক কষ্ট করে একটা আইসিইউ ম্যানেজ করা হয়। বাচ্চাটাকে নিয়ে গেলাম ভালো, যাওয়ার সময় অনেক কথা বলছিল। জুলাইয়ের ৮ তারিখে ভর্তি করা হয়। চারদিন আইসিইউতে থেকে মারা যায়। অনেক দামি দামি মেডিসিন দিয়েছিল মেয়েকে। কিন্তু বুঝতে পারছি না কীভাবে কি হলো। ওর চিকিৎসায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। বাচ্চাটাকে বেশি মেডিসিন দেয়া হয়েছে। এখনো স্কুলে ভর্তি করিনি, তার আগেই চলে গেল আমাদের ছেড়ে।
এভাবে ডেঙ্গু কেড়ে নিলো নাতনিটাকে: ১ বছরের শিশু নুসরাত। নেত্রকোনায় তাদের বাড়ি। জুলাইয়ের ১৬ তারিখে হঠাৎ জ্বর আসে। এরপর নেত্রকোনার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক দেখার পরে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য বলেন। পরে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নুসরাতের নানা হানিফ বলেন, আমার নাতনির রক্তের প্লাটিলেট অনেক কম ছিল। চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য বলেন। ঢাকায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চারদিন আইসিইউতে থাকার পর সে মারা যায়। আমার একমাত্র মেয়ের এই একমাত্র বাচ্চা। পরিবারের সবার চোখের মণি ছিল। এদিকে তার চিকিৎসায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। ধার-দেনা করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।
দুই সন্তানকে হারিয়ে দিশাহারা বাবা-মা: রাজধানীর মধ্য পাইকপাড়ার ছাপাখানা মোড়ের একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন ইব্রাহিম ও রাবেয়া দম্পতি। সপ্তাহের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই ছেলেমেয়েকে হারিয়েছেন এই দম্পতি। শিশু দুটির নাম ছিল আরাফাত হোসেন রাউফ ও ইসনাত জাহান রাইদা। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেরিয়েও বাঁচাতে পারলেন না তাদের। মধ্য পাইকপাড়া বাসার কাছেই আইকন একাডেমি নামে একটি স্কুলে রাউফ কেজিতে আর রাইদা নার্সারিতে পড়তো। রাউফের বয়স ছিল ৯ বছর। আর রাইদার সাড়ে ৬ বছর। শিশুদের বাবা ইব্রাহিম বলেন, আমাদের আর বাঁচার কোনো অবলম্বনই রইলো না। সবকিছু এখন পর্যন্ত আমার কাছে দুঃস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ই আগস্ট রাউফ এবং ২৫শে আগস্ট রাইদা মারা যায়। রাউফকে সাভারের হেমায়েতপুরে কবর দেয়া হয়। ভাই মারা যাওয়ার পর রাইদা বলেছিল বাবা আমরা আর ঢাকায় ফিরবো না। ওখানে অনেক মশা। সাভারেই থাকবো। বেঁচে থাকতে বাবার দুই বাহুতে যেভাবে দুই সন্তান পাশাপাশি ঘুমাতো মৃত্যুর মধ্যদিয়েও রাউফ-রাইদা এখন পাশাপাশি কবরে শুয়ে আছে।
ডেঙ্গু আমাদের সব তছনছ করে দিলো: রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ১১ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিদ্ধিমান। বরগুনার পাথরঘাটায় তার গ্রামের বাড়ি। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল শিশুটি। তার বাবা প্রবীর ঢাকায় একটি কোম্পানিতে প্রকল্প প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। স্ত্রী-সন্তান থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। শিশুটির বাবা প্রবীর বারিক বলেন, গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাতে রিদ্ধিমানের জ্বর আসে। জ্বর না কমায় চিকিৎসকের পরামর্শে ফার্মেসি থেকে সাপোজিটর দেয়া হয়। এরপরও জ্বর কমছিল না। পরদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৬ই সেপ্টেম্বর ভোরে তাকে বরিশাল সদরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা থেকে বরিশালে যাই। প্লাটিলেট কমতে থাকলে দেরি না করে বাচ্চাটাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হই। ৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে পরীক্ষায় দেখা যায়, প্লাটিলেট ১৮ হাজার। পরদিন ৭ হাজারে নেমে যায়। দ্রুত তাকে চার ব্যাগ প্লাটিলেট দেয়া হয়। তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময় থেকে রক্তচাপ কমতে থাকে। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এরপর খিঁচুনি হলে চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা জানান। রিদ্ধিমানের অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০ শতাংশ। ১১ তারিখ ভোরে প্লাটিলেট দেয়ার কথা ছিল। রক্তও জোগাড় হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন সকাল পৌনে নয়টায় সে মারা যায়। তিনি বলেন, আমার ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। এ বছর মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। তার মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকতো। এখন আমার ঘরজুড়ে নীরবতা। মাকে ছাড়া কখনো থাকতো না।
ছেলের যে কষ্ট দেখেছি, তা এই জীবনে কেমনে ভুলবো: কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিমুল পারভিন। ঢাকার টঙ্গীতে থাকেন তিনি। তার স্বামী মো. তাজুল ইসলাম গাজীপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এই দম্পতির বড় ছেলে অয়ন ইসলাম অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে আলিফ ইসলাম পড়ে কেজিতে। আলিফের জ্বর আসে ১০ই সেপ্টেম্বর। পরেরদিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হলে তাকে লালমাটিয়ায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১৩ই সেপ্টেম্বর মারা যায় আলিফ। তাদের মা শিমুল পারভিন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে নিতেই এম্বুলেন্সে বসেই বুঝতে পারি ছোট ছেলের অবস্থা খারাপ। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরে ছেলের লাশ কুর্মিটোলা হাসপাতালে এনে হিমঘরে রাখি। এদিকে বড় ছেলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে। ছেলেটি অনেক সুন্দর ছিল। আমি তো মা, ছেলে মারা যাওয়ার আগে যে দৃশ্য দেখেছি, ছেলের যে কষ্ট দেখেছি, তা এই জীবনে কেমনে ভুলবো। প্রথমে আমার স্বামীর ডেঙ্গু হয়।
আলোকিত ঘরে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার: সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে জ্বর আসে আফিয়ার। এরপর হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। দুইদিন পরই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ছোট মেয়ে তাসনিয়াও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আফিয়া। দুই সন্তান আর স্বামী-স্ত্রী মিলে চারজনের পরিবার নিয়ে রাজধানীর ৬০ ফুট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন আলমগীর হোসেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। আলমগীর হোসেন ঠিকাদারের কাজ করতেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে আফিয়াকে। ছোট মেয়ে তাসনিয়াও সেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে। এই মেয়েটার কিছু হলে আমার আর বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন থাকবে না। বড় মেয়েটার যখন জ্বর আসে তার দুই দিন পর তাকে নিয়ে শিশু হাসপাতালে চলে আসি। তাকে বেডে ভর্তি করা হয়। পরদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে বড় মেয়ে আফিয়া শক সিন্ড্রোমে চলে যায়। তার রক্তচাপ কমে। এরপর হাসপাতাল থেকে বলা হয় পিআইসিইউতে নিতে। চিকিৎসকরা নর্মগ্লোবিন নামে ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে বলেন। অনেক খুঁজেও সেটি খুঁজে পাইনি। তখন চিকিৎসকরা মেয়েটিকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যায়। ১৫ তারিখে রাত ১১টায় আফিয়া মারা যায়। ছোট মেয়েটাকে হাসপাতালে রেখেই বড় মেয়ের লাশ নিয়ে যাই গ্রামের বাড়ি। আফিয়াকে হারিয়ে আমার পরিবারে ঘোর অমানিশা নেমে এসেছে। সামান্য ডেঙ্গুতে আমাকে আমার আদরের সন্তানকে হারাতে হবে কখনো কল্পনাও করিনি। বড় মেয়েকে হারানোর পর আমার স্ত্রীর অবস্থাও খুবই খারাপ হয়ে গেছে। তাকে আমি কী ভাবে বুঝাবো?