স্পোর্টস ডেস্ক : দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছে, তাকে এককথায় বলা যায় ‘তাণ্ডব’।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তিন সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান তুলে দলটি। জবাব দেওয়া লংকানদের ৩২৬ রানে অলআউট করেছে। নির্মমভাবে হারিয়েছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে।
একপেশে এ ম্যাচে কোনোভাবেই লড়াই করতে পারেনি লংকানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এক অর্থে নাস্তানাবুদ হয়েছে তারা। কিন্তু টার্গেট যখন বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ডের, রান তাড়ায় চারশোর বেশি যখন লক্ষ্য, তখন লংকানদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলংকার পথটা যে বেশ কঠিন, সেটা বোঝা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের পরপরই। বিশ্বকাপে ৩২৭ রানের বেশি তাড়া করার রেকর্ড কারও নেই, শ্রীলংকার সফল তাড়া আরও কম—৩১২। এই যখন পেছনের দৃষ্টান্ত, শানাকাদের সামনে তখন ৪২৯ রানের লক্ষ্য।
দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশাল পেরেরা মোটে ৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর যে লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় এভারেস্টসম। তারপরও চেষ্টা করে গেছেন মেন্ডিস, আসালঙ্কারা।
কুশল পেরেরা একদিকে নিষ্ক্রিয় থাকলেও কুশল মেন্ডিস ঝড় তোলেন। তাতে স্কোরবোর্ডে আশা জাগানিয়া পুঁজি জমা হতে থাকে। অষ্টম ওভারে ৬৬ রানের এই জুটি ভেঙে যায় পেরেরার (৭) বিদায়ে।
মেন্ডিস ৪২ বলে চারটি চার ও আটটি ছয়ে ৭৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে থামতেই শ্রীলংকা লাইনচ্যুত হয়।রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
দুই রান পরেই আবার উইকেটের পতন। কোয়েটজের বলে আউট সামারাবিক্রমা। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। তবে হাল ছাড়তে রাজি ছিল না ৯৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাট হাতে এবার নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।
৮ চার এবং ৪ ছয়ে খেলেছেন ৬৫ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। তবে দলীয় ২৩২ রানে আসালাঙ্কা ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে যায় শ্রীলংকা। এর এক রান পরেই আউট দুনিথ ভেল্লালাগে।
কাসুন রাজিথাকে নিয়ে এরপর লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। অধিনায়ক হয়ে খেলেছেন অধিনায়কের মতোই ইনিংস। তার ৬৮ রানের ইনিংস কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল লঙ্কানদের। তবে কেশব মহারাজের বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলংকার স্বপ্নটাও শেষ হয়ে যায়।লঙ্কানদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানে।
আরো পড়ুন : দর্শক উন্মাদনা না থাকলেও এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত