তাহলে কি ট্রাম্পের হুমকির কাছে নতি স্বীকার করলেন ভারত?

অর্থনীতি আন্তর্জাতিক তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ মুক্তমত হ্যালোআড্ডা

ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা চালু করলে তাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারে ট্রাম্পের সেই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন, ডলার বাতিল করে তার বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রায় বাণিজ্যের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। কাতারে ‘দোহা ফোরাম’-এ বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ব্রিকস নিয়ে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দিতে চাই, ডলার বাদ দেওয়ার পক্ষে কখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সর্ববৃহৎ সঙ্গী। ডলারকে দুর্বল করার কোনও ইচ্ছে ভারতের নেই।’’

আমেরিকা-রাশিয়া টানাপড়েনের আবহে ডলারকে বাদ দিয়ে ব্রিকসগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি নতুন মুদ্রার প্রচলন করতে চাইছে বলে বেশ কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছে। এ নিয়ে দিন কয়েক আগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহার না করলে ব্রিকসগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের কথায়, “ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলি যদি নতুন মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু করে, তা হলে তারা আমেরিকার বিকল্প খুঁজে নিক। কারণ আমেরিকার দরজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। ওই দেশগুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্কের খাঁড়া নেমে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্দান্ত অর্থনীতিতে তারা তাদের পণ্য বিক্রির স্বপ্নকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন।’’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে দোহা সম্মেলনে জয়শঙ্কর তেমন কোনও নতুন মুদ্রার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন।

ট্রাম্পের জামানায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দিল্লি যে সক্রিয়, তাও বুঝিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। বাণিজ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সার্বিকভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলি রাশিয়াকে বয়কট করলেও রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় অব্যাহত রেখেছে ভারত। ২২তম দোহা সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফের রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করে পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘ভারতের শক্তির চাহিদা মেটাতে বিশ্বের কাছে আর কোনও ভাল বিকল্প আছে কি?’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি তেল কিনছি, এটা সত্যি। তবে এটা সস্তা নয়। আপনাদের কাছে এর চেয়ে ভাল কোনও পথ আছে?’’

আরো পড়ুন : ইউরোপীয় দেশের ভিসা সেন্টার ঢাকায় আনার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *