তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৫৩ জন। এ নিয়ে দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ১৭০।
এদিকে আধুনিক ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সিরিয়ার অনেক এলাকায় উদ্ধারকাজই চালানো সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইরের কোনো দেশ থেকেও সেখানে যেতে পারেনি কোনো উদ্ধারকারী দল। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা অসহায় হয়ে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জীবিতদের অনুসন্ধান তৎপরতার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ও দেশটির বৃহত্তম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল হোয়াইট হেলমেট শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, তুরস্কে এখনো উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মী। তবে তারা বলেছেন, উদ্ধারকাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও যদি কোনো জীবিত মানুষকে ধ্বংসস্তূপে পাওয়া যায়, তবে সেটা খুবই অলৌকিক ঘটনা হবে বলে তারা মনে করছেন।
এদিকে সিরিয়ায় এ ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কার কথা জানায়। বিবৃতিতে সংস্থাটি সিরিয়ার এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানায়।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
আরো পড়ুন : জেনে নিন চ্যাটজিপিটি কী বলছে তারকাদের নিয়ে