তৃতীয় দিন শেষে ৭৫ রানে লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা

খেলাধুলা প্রচ্ছদ

ডারবানে বৃষ্টি বাগড়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। ৬৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও ৬ রান যোগ করে। এরপর বৃষ্টি বাগড়া ও আলোর স্বল্পতার জন্য খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে দিনশেষ বলে ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। তাতে ৭৫ রানে লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।

আরো পড়ুন : ছাত্রদলের ক্যাডারদের হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেত্রীর আজ সবিভিশিকাময় আজ সেই দিন

এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে ২৯৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রেকর্ডগড়া মাহমুদুল হাসান জয় একাই করেন ১৩৭ রান। এই স্কোর গড়তে জয় খেলেছেন ৩২৬ বল। বাংলাদেশের ব্যাটারদেরম মধ্যে কেউই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ স্কোর লিটন দাসের ৪১। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৯ ও ইয়াসির আলী করেন ২২ রান।

ডারবান টেস্টে বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররা যখন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছিল, তখন মাহমুদুল হাসান জয় ছিলেন অবিচল। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিকে রূপ দেন সেঞ্চুরিতে। ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ২৬৯ বলে। যেখানে ১০টি চার ও একটি ছয়ের মার খেলেছেন তিনি। বলের হিসেবে টেস্টে বাংলাদেশের মন্থরতম শতকের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে জায়গা পেয়েছে ইনিংসটি।

টেস্টে এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। এমনকি দেশের মাটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ব্যাটারের টেস্ট শতক ছিল না। সেটা ঘুচালেন মাহমুদুল হাসান জয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল মুমিনুল হকের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৭৭ রান করেছিলেন বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক।

তৃতীয়দিন ব্যাট হাতে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত মাত্র ১ রান করে আউট হন তাসকিন। এরপর প্রথম সেশনে আর উইকেট হারায়নি সফরকারীরা। চাপে পড়া বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে লিড দেন ওপেনার জয় এবং দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস। সকালের সেশনে ১৬৯ বলে ৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুই ব্যাটসম্যান।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেটকিপার ব্যাটার লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪১ রান। পরে রাব্বি এবং মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নিতে থাকেন ওপেনার জয়। রাব্বি আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২২ রানে। আর মিরাজের সংগ্রহ ২৯ রান। খালেদ ফেরেন খালি হাতেই। শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন এবাদত।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন সিমোন হার্মার। এছাড়া লিজার্ড উইলিয়ামস তিনটি ওলিভার ও মুল্ডার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা- ৩৬৭/১০ (১২১ ওভার) (এলগার ৬৭, বাভুমা ৯৩, এরউই ৪১, হার্মার ৩৮*, খালেদ ৩/৯২, মিরাজ ৩/৯৪)

বাংলাদেশ- ২৯৮/১০ (১১৫.৫ ওভার) (জয় ১৩৭, মিরাজ ২৯, লিটন ৪১, শান্ত ৩৮, ইয়াসির ২২, হার্মার ৪/১০৩, উইলিয়ামস ৩/৫৪)

আরো পড়ুন : টিপ পড়ার কারণে শিক্ষিকার গায়ে বাইক তুলে দিল পুলিশ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *