দিনাজপুরে আরো একটি খনি’র সম্ভাব্য যাচাই

অর্থনীতি জাতীয় প্রচ্ছদ শিল্প প্রতিষ্ঠান

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে দিনাজপুরে।বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)। খনির অবস্থান নিশ্চিত হতে এই কাজ চালাবে চার মাস ধরে। সম্ভাব্য এই খনির সন্ধান মিললে এই জেলায় খনির সংখ্যা হবে ছয়টি।

এ জন্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে কাজ চলছে প্রায় ১০ দিন ধরে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও আনা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে টানানো হয়েছে সাইনবোর্ড। এ মাসের শেষের দিকে কূপ খনন কাজ উদ্বোধন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে। সুত্রটির মতে, এর আগে ওই এলাকার পাশে দুটি স্থানে খনন করে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভূগর্ভের ভেতর সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কূপ খননের প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি অনুসন্ধানী দল। কুতুবপুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের আকতার, ,হবিবর রহমান এবং কানছিয়া মণ্ডলের জমিতে এই ড্রিলিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখানে লোহার কাঁচামাল আকরিক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা।

তবে সম্ভাব্য খনি এলাকায় উপস্থিত ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হননি। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, জিএসবির মহাপরিচালক কূপ খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

এদিকে খনন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবস্থানের সময় কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথপ্রদর্শনে সহযোগিতা করার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা থেকে একটি চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও পার্বতীপুর থানাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে এই খনন কার্যক্রম দেখতে এসে গ্রামবাসীর অনেকে উল্লসিত হওয়ার পাশাপাশি শঙ্কিতও হয়ে উঠেছেন। খনিজ সম্পদ মিললে এখানে খননকাজ হবে এবং এতে তাদের জমিজমা ও বাড়িঘরের ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন তারা।

পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, খনন কার্যক্রম করা হবে জানিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে আমাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্যই বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরে বর্তমানে ৫টি খনি রয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া পাথর খনি। এ ছাড়া ফুলবাড়ি উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলাতে রয়েছে একটি করে কয়লা খনি। এর মধ্যে ফুলবাড়ি কয়লা খনি প্রকল্পটি এখন বন্ধ আছে। আর নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা খনিতে উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া হাকিমপুর উপজেলার মুর্শিদপুরের ভূগর্ভে রয়েছে একটি ম্যাগনেটাইট লোহার খনি যেখানে অন্যান্য খনিজ উপাদানও রয়েছে।

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *