স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াত পোশাক শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়েছে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা যতই ষড়ষন্ত্র করুক তাদের আশা কখনো পূরণ হবে না। গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় তিন মাস পর কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ১২ই আগস্ট সর্বশেষ বৈঠক হয়। এবারের বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নানান উপ-কমিটি গঠন, বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ এবং সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলবো, যেটা (মজুরি) বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক। যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দেই।
কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নামে, তখন যারা তাদের উস্কানি দিচ্ছে তারাই তাদের (শ্রমিকদের) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যে, তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল-অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে। অগ্নিসংযোগে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বার বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি। এ সময় আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা এসব যারা করে তাদের আটক করা হবে না তো কী করা হবে? যারা এসব সন্ত্রাস করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে আবার আগুনে মানুষ পোড়ানো শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কী কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরাতো ওদের মতো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার, বিদ্যুৎসহ অনেক খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। বিনামূল্যে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এ সুবিধা দিয়েছে? সরকার প্রধান বলেন, এখনো ৭০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখে। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন, বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না।
বৈঠক সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন মোকাবিলায় দলীয় কৌশলসহ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরো পড়ুন : চতুর্থ দফায় রোববার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ