নওগাঁর মান্দা প্রতিনিধিঃ– আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নওগাঁ সদরসহ ১১ টি উপজেলার মধ্যে কয়েকটি উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। রোগীতে ভর্তিতে হাসপাতালের বেডগুলো বাকি থাকছে না হাসপাতালের মেঝেও।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই ) বেলা ১২ দিকে সরেজমিনে নওগাঁ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সহ কয়েকটি উপজেলা হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ভিড় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী পুরুষ ও শিশু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ১২টি। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের বাসি ও পচা খাবার থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পান এবং সব সময় পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল।
জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুর ইউনিয়ন গুজিশহর করিম, মহাদেবপুরের আকলিমা বিবি, বলেন, ‘দুইদিন আগে সন্তানের হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে নিয়ামতপুর উপজেলা হাসপাতালে এসেছি।’
মান্দা উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন, আকবর আলী, বলেন, ‘গত কয়েক দিনের গরমে মেয়েটা বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। সোমবার রাতে মান্দা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি। এবং চিকিৎসা নিচ্ছি।’
নওগাঁর মান্দা ৫০ শয্যা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে কষ্ট পাচ্ছে অভিভাবক এবং শিশুরা। চিকিৎসা সেবা দিতে সর্বদাই ব্যস্ত রয়েছি ।
মান্দা উপজেলার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিজয় কুমার বলেন, ‘শিশুরা যখন তখন যা খুশি পায় তা ধরে, মুখে দেয়। তাই তাদের সাবধানে রাখতে হবে। সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুয়ে দিতে হবে। ডাইরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।’তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নারী-পুরুষ সহ রোগী ৭-৮ জন রুগী ভত্তি হয়েছে।
নওগাঁর মান্দা-৩ প্রতিনিধিঃ-মোঃ হাবিবুর রহমান