নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর মান্দায় টিসিবি পণ্যের কার্ড আটকিয়ে কার্ড প্রতি ১০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ১১ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের এমন হটকারী সিদ্ধান্তে আজ সোমবার ওই ইউনিয়ন পরিষদে পণ্য নিতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন অনেক কার্ডধারীরা। উপায়ান্ত না থাকায় অনেকে ধার করে চেয়ারম্যানের দাবি পুরন করেন। এর পর তাদের ভাগ্যে জুটে টিসিবির পণ্য। এতে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কার্ডধারীদের মাঝে।
সুফলভোগীদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে বসতবাড়ির হোল্ডিং নম্বর প্লেট দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছেন গ্রাম পুলিশেরা। অনেকে এটি নিয়েছেন আবার কেউ কেউ নেয়নি। টিসিবির কার্ডধারী যারা হোল্ডিং নম্বর প্লেট নেয়নি আজকে তাদের কার্ড আটকিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে।
ইউনিয়নের চকশ্রীকৃষ্ণ গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘টিসিবির পণ্য নিতে আজকে আমি ইউনিয়ন পরিষদে আসি। এসময় গ্রামপুলিশ আমার কাছে হোল্ডিং নম্বর প্লেট বাবদ ১০০ টাকা পরিশোধের চিরকুট দেখতে চান। সেটি দেখাতে না পারায় আমাকে লাইনে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। পরে ধারে টাকা নিয়ে নম্বর প্লেট নিয়েছি। এর পর লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিতে পেরেছি।’
কার্ডধারী গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রাম পুলিশেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোল্ডিং নম্বর প্লেট দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছে। এর পর তারা বাড়িতে টাকা পরিশোধের একটা চিরকুট দিয়েছে। কার্ডের সঙ্গে সেই চিরকুট দেখিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে হচ্ছে। আগে যারা টাকা দেয়নি তাদের কার্ড আটকিয়ে টাকা আদায় হয়েছে।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু বলেন, ইউনিয়নে বসতবাড়ির হোল্ডিং নম্বর দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। টিসিবির কার্ডধারী যারা হোল্ডিং নম্বর প্লেট নেয়নি আজ তাদের কাছ থেকে ওই ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিলো। চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইউএনও মহোদয় ফোন দেওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্ড আটকিয়ে টাকা আদায় কিংবা পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) জাকির মুন্সী বলেন, হোল্ডিং নম্বরের সঙ্গে টিসিবি পণ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। মোবাইলফোনে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামকে হোল্ডিং নম্বরের টাকা আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে।
মোঃ হাবিবুর রহমা, নওগাঁ
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁয় ট্যাব পেলো ৩৩৬ শিক্ষার্থী