শটটা ভালোই খেলেন, অন্তত আজকের দিনে সেটাই মনে হচ্ছিল। রিভার্স সুইপ করে ভালোই রান পাচ্ছিলেন। ৯৭ রানে থাকা অবস্থাতেও তাই রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন নোমান আলীকে। বলটা গিয়ে পড়ল ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে থাকা ইমাম-উল-হকের কাছে। জোরালো আবেদন কিন্তু মন গলেনি আলিম দারের। উপায় না দেখে রিভিউ নিল পাকিস্তান। রিপ্লেতেই টের পাওয়া গেল কী করেছেন খাজা। বলটা ব্যাটে না লাগলেও গ্লাভসের ওপরের অংশের স্পর্শ ঠিকই নিয়ে গেছে। জন্মভূমিতে নিজের প্রথম টেস্ট ইনিংসে ৩ রানের জন্য শতক ছোঁয়া হলো না খাজার।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তানের সাফল্য খুঁজতে গেলে আজ খুব বেশি কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতা আগেই খেলা শেষ করে দিয়েছে। এর আগে প্রথম দুই দিনের শোধ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২ উইকেটে ২৭১ রান করে পাকিস্তানের চেয়ে ২০৫ রান পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
গতকাল ৪ উইকেটে ৪৭৬ রান নিয়েই পাকিস্তানের মনে হয়েছিল যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু টানা দুই দিন স্বাগতিক হয়েও যা করতে পারেনি পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া সেটাই করেছে। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনেই তুলেছে ১৩৩ রান। আগের দিনের ৫ রান মিলে মধ্যাহ্নভোজনে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৮ রান এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার।
শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর গতি ও নিয়ন্ত্রণের সামনে অস্বস্তিতে ছিলেন ওয়ার্নার। অন্য প্রান্তে ঠিকই স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন খাজা। দিনের ১২তম ওভারেই ৫০ পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার তখনো খোলসে। প্রথম ৪৫ বলে মাত্র ১১ রান করেছিলেন ওয়ার্নার। নাসিম শাহর বলে ব্যাকফুট পাঞ্চে টানা দুই চারে ঘুম কাটল ওয়ার্নারের। দুই বল পর আরেকটি চার।
এরপর দুই প্রান্ত থেকেই আক্রমণ চালিয়ে গেছেন দুজন। মাত্র ৬৭ বলে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া খাজা। একটু ধীরে শুরু করলেও মধ্যাহ্নবিরতির আগেই অর্ধশতক পেয়ে গেছেন ওয়ার্নারও। বিরতির পর সাজিদ খানের একটা বল বুঝতে ভুল করে বোল্ড হয়ে যান ওয়ার্নার (৬৮)। ১৫৬ রানে থামেন উদ্বোধনী জুটি। আর উসমান খাজার ওই ভুল দলকে ২০৩ রানে রেখে।
এরপর কিছুক্ষণ পাকিস্তানি বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন। নোমান আলীর বলে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন মারনাস লাবুশেন। নাসিম শাহও গতি ও বাউন্সে তাঁকে কাবু করেছেন বেশ কবার। কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষায় লাবুশেনই জিতেছেন। ৭২ ওভারেই দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৬৯ রানে অপরাজিত লাবুশেন। অন্য প্রান্তে স্টিভ স্মিথ অপরাজিত ২৪।