নওগাঁ প্রতিনিঃ- গত ৩১ জানুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েই সাংবাদিকে উপর হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাব। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ১ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টায় উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ফুলাহারা সমাসপুর গ্রামে।মঙ্গলবার নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
হামলার শিকার হন নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন ও দৈনিক নবচেতনার উপজেলা প্রতিনিধি নূরুন নবী।
যৌথ বিবৃতিতে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, হামলায় নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের লোকজন অংশ নেয়। এতে গুরুতর আহত হন উপজেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন এবং দৈনিক নবচেতনা নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি নূরুন নবী। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের শামিল। অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়ার জোর দাবি জানায় নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাব।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ বলেন, ভোটের পরের দিন মঙ্গলবার আমাদের সহকর্মীর উপর হামলা ও মারপিট করে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো জানান বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীদের কোন নিরাপত্তা নেই। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
হামলার শিকার সাংবাদিক নূরুন নবী বলেন, আমি নিয়ামতপুর উপজেলা আসার জন্য পথি মধ্যে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে থামলে ফুলাহারা সমাসপুরের রইচ উদ্দিনের ছেলে সারোয়ার হোসেন (২৫)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাবিবুর রাহমান, নওগাঁ প্রতিনিধি