ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শমী কায়সার। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদ বরাবর নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন শমী। সেই সঙ্গে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের অনুরোধ করেন তিনি। ই-ক্যাবের ফিন্যান্সিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগপত্রে শমী কায়সার লেখেন, আমি গত তিন মেয়াদে ই-ক্যাব এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি এই তিন মেয়াদে ই-ক্যাব একটি শক্তিশালী অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে আমরা এই অ্যাসোসিয়েশনকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম আজ শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আমি ই-ক্যাব এর নির্বাহী কমিটির কাছে প্রদান করে যাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায় আমাকে সবসময় যারা সহযোগিতা করেছেন সেই সকল প্রিয় ই-ক্যাব সদস্যদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, গত মেয়াদে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এই রকম গুরুদায়িত্ব গ্রহণের পর যখন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে নানান ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে আমি এইটুকু কথা হলফ করে বলতে পারি যে আমার কোন কর্মকাণ্ডে ই-ক্যাব কিংবা এর কোন সদস্যের কোন ধরনের ক্ষতি সাধিত হয় নাই এবং এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে আমি সভাপতি দায়িত্ব পালনকালে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলাম না। এমনকি আমি কোন চেক সাক্ষরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম না। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে শুধুমাত্র পলিসির ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম গত তিন মেয়াদ।
শমী কায়সার বলেন, গত ২৭ জুলাই ২০২৪ ই-ক্যাব এর নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু দেশের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচন করতে পারি নাই। নির্বাচনটি পিছিয়ে দেবার জন্য আমরা নির্বাচন বোর্ড এর কাছে অনুরোধ করেছি। আমি আশা করব যে খুব শিগগির নির্বাচন কমিশনার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে তা অনুষ্ঠিত করবেন। তবে বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ই-ক্যাব সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং তাৎক্ষণিক ভাবে পদত্যাগপত্রটি কার্যকর করার অনুরোধ করছি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কার্য পরিচালনা চলমান রাখার জন্য আমার অবর্তমানে বর্তমান ইসি দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে, সভাপতির অবর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্যকে পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিন্যান্সিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।
আরো পড়ুন : আবারও বড় রদবদল হলো ঢাকা মহানগর পুলিশে