পলাশবাড়ী পৌর মেয়র ও কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি প্রচ্ছদ

গাইবান্ধা প্রতিসিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবড়ী পৌরসভায় মেয়র ও পৌর কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি উঠেছে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন পলাশবাড়ী পৌর এলাকার জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা পলাশবাড়ী সচেতন নাগরিক সমাজ এর সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম লিয়াকত। গত ১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে এ অভিযোগ প্রদান করেন।

এ অভিযোগের আলোকে পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব কর্তৃক পলাশবাড়ী পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনায় পাহাড়সমান অনিয়ম ও দূর্নীতি করে চলেছেন। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি’র অভিযোগের ৭ টি বিষয় তুলে ধরেন৷

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউল রহমান জানান ,অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে এ বিষয়ে পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ, অভিযোগ গুলো হলো পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারগণের লাইন্সেস গুলো পৌরসভায় জমা রেখে নাম মাত্র ঠিকাদারদের নামে দিয়ে দরপত্র টেন্ডার দাখিল করে মেয়রের ছোট ভাই শরিফুজ্জামান পল্লবসহ তার কতিপয় সহকারি ঠিকাদার দিয়ে যেন-তেন ভাবে কাজ গুলো সম্পূর্ণ করছেন। ছোট ভাই কে দিয়ে পৌর এলাকার কালীবাড়ী ড্রেন নির্মাণে পূর্বের ব্যয় সঙ্গে আরো অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দায়সারা কাজ করেছেন, পৌর এলাকার সিএনজি, অটো ভ্যানের টোল আদায়ে টেন্ডারের সিডিউল কাউকে কিনতে না দিয়ে পর পর দু’বছর তার ছোট ভাই পল্লব-কে দিয়ে অবৈধভাবে জোড় পূর্বক টোল আদায় ও অন্য এলাকার অটোভ্যান পৌর এলাকায় লাইন্সেস করতে বাধ্য করার চেষ্টায় অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন, এদিকে সম্প্রতি সম্পূর্ণ হওয়ায় পৌরসভার জনবল কাঠামো পদ সমূহ পূরণে নিয়োগ বানিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ৬টি পদে নিয়োগে নিজ শালিকা-কে ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগ দেওয়াসহ ৬টি পদের নিয়োগ বানিজ্য করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, বর্তমানে ৩টি পদ নিয়োগ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ তিনটি নিয়োগে ইতিমধ্যে মাষ্টার রোলে নিয়োগপ্রাপ্ত নিজ ভাগিনা সাকিন মাহমুদ সজল, ভাতিজা টিপু প্রধান, প্রতিবেশী সজীব কে নিয়োগ প্রদানে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রমাণ তদন্তকালে উপস্থাপন করা হবে, পৌরসভাধীন পানহাটে থেকে পৌরসভার লোক দিয়ে প্রতিদিন ১০ হতে ১৫ হাজার টাকা ইজারা গ্রহন করে, পৌর অফিসে জমা না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন, পৌরসভার অস্থানীয় কার্যালয়ের ভাড়া ভবনে অবকাঠামো সংস্কার দেখিয়ে গত ২ বছরে বিশ লক্ষ টাকার অধিক উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে জানা যায়, সারাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এ পৌরসভায় তার কোন ব্যবস্থা নেই। পৌরসভার কর্মচারী থাকা স্বতেও মাষ্টার রোলে নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভায় স্থায়ী নিয়োগের চেয়ে মাষ্টার রোলে নিয়োগ পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেশী। উল্লেখিত অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আবেদন করেছেন।

ফারুক হোসেন, গাইবান্ধা।

আরো পড়ুন : হানাদারমুক্ত দিবসে গাইবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধের স্মারক প্রদর্শনী

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *