ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মামলা হামলা র্তক-বির্তকর মাঝে চরধরমপুর টাংগন মোহনায় অবশেষে গড়ে উঠেছে ভূমিহীন গৃহহারা মানুষের জন্য ১’শটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার বাড়ী। বিশাল এ জায়গাটিতে বাড়ী নির্মাণে স্থানীয় ও উর্ধতন প্রশাসনের সুদৃষ্টি ছিলো এ জায়গাটি ঘিরে। নক্সা করা হয় ১’শটি বাড়ী নিমার্ণের সাথে পানির ব্যবস্থা, রাস্তা, মসজিদ,স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার ও কবরস্থানের। ১’শটি বাড়ী তৈরী হয়ে ভূমিহীন ১’শটি গৃহহীন পরিবার বাড়ীতে উঠে বসবাস করছেন। আলো, পানি সুবিধা পেয়ে বেশ খুশি তাঁরা। স্থ্নানীয় ও উর্ধতন প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ স্থানটির নামকরণ করেন জাতির পিতা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরে করে “মুজিব পল্লী”। এখানে রাস্তা,মসজিদ,স্কুলসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়ার কথা। কিন্তু সেখানে শত ভাগ ইসলাম ধর্মপ্রাণ মানুষ বসবাস করছেন। কথা অনুযায়ী বাড়ী নির্মাণের সময় নির্মাণ শ্রমিক থাকার জন্য একটি গোডাউন ঘর নিমার্ণ করা হয়। সেই ঘরটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করেন উপকারভোগিরা। হঠাৎ মসজিদ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতিদের ভোলাহাট উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার মোঃ কাউসার আলম সরকার তাঁর অফিসে ডেকে পাঠান। কমিটির সদস্যরা অফিসে গেলে মসজিদের নামে প্রকল্প আছে মর্মে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার প্রকল্প দেখিয়ে প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বরাদ্দের টাকার চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। মসজিদের উন্নয়নে ১লাখ ২৪ হাজার টাকার চেকে প্রকল্প সভাপতি মসজিদ কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কয়েশ উদ্দিনের স্বাক্ষর নিলেও একটি টাকাও তাঁদের দেয়া হয়নি। প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা টাকা না দেয়ায় তর্কে জড়ালেও একটি টাকাও তাঁদের না দিয়ে অফিস থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার(পিআইও) মোঃ কাউসার আলম সরকার তাঁদের বলেন এ চেকের টাকা দেয়া যাবে না। ঐখানে আমার পকেট থেকে টাকা খরচ করে কাজ করেছি।
এদিকে মসজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কয়েশ উদ্দিন জানান, পিআইও আমাদের মসজিদ কমিটিকে অফিসে ডেকে অনেক কাগজপত্রে সই করিয়ে নিয়েছে। মসজিদের নামে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার চেকে সই করিয়ে নিয়ে টাকা দেয়নি। পিআইও বলেছেন, তাঁর পকেট থেকে খরচ করেছে তাই টাকা কেটে নিয়েছেন।
এদিকে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোঃ আব্দুর রাকিব বলেন, যেটা মসজিদ আছে এটা নির্মাণ শ্রমিকদের গোডাইন ঘর ছিলো। কাজ শেষ হলে আমরা মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপরে টিন ও মেহেরাব তৈরী করেছি। পিআইও এ মসজিদে কোন টাকা খরচ করেনি বলে জানান।
সহসভাপতি মোঃ ময়েজ আলী বলেন, ১লাখ ২৪ টাকার চেক সহি করে টাকা না দেয়ার জন্য পিআইওর সাথে ঝসড়া করেছি। তারপরও টাকা দেয়নি।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায় অফিসার মোঃ কাউসার আলম সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মসজিদের উন্নয়নে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার প্রকল্প দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে মসজিদ নিমার্ণ করেছিলাম তাই প্রকল্প দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়েছি বলে জানান।
গোলাম কবির-ভোলাহাটচাঁ, পাইনবাবগঞ্জ