পেঁয়াজের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আমদানি করা এই মসলা পণ্যের দাম দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শনিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। অথচ গত বুধবারও এই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় পাওয়া গেছে।
আমদানির পেঁয়াজের প্রভাবে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। শনিবার দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিল বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। শুক্রবার শ্যামবাজারেও পেঁয়াজের সংকট ছিল। পেঁয়াজের চাহিদার বড় অংশ দেশীয় উৎপাদন থেকে মিটলেও পণ্যটিতে আমদানিনির্ভরতা রয়েছে। দেশে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। প্রায় ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। আমদানির সিংহভাগই আসে ভারত থেকে।
এছাড়া মিয়ানমার, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হয়। কিন্তু আমদানির বড় উৎস ভারত থেকে সরবরাহ কিংবা দাম কমবেশি হলে বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে বা ভারত সরবরাহ কমিয়ে দিলে এ দেশে দাম বাড়ছে।
তবে সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এখন পণ্যটির মৌসুমও চলছে। ফলে ভারতের সরবরাহ বা দাম দেশের বাজারকে প্রকৃতপক্ষে প্রভাবিত করার কথা নয়। দেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে সরবরাহ কমের অজুহাতে অহেতুক দাম বাড়াচ্ছেন।
এদিকে আমদানি করা রসুনের দামও বেড়েছে। গত চার দিন ধরে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়, যা এতদিন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। এতে দেশি রসুনের দামও বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। রসুন প্রধানত চীন থেকে আমদানি হয়। সম্প্রতি আমদানি পর্যায়ে দাম ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
এছাড়া গতকাল বাজারে চালের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশের এই প্রধান খাদ্যপণ্য। আর আটা, ডাল, শুকনা মরিচ, ডিম, মুরগি, চিনিও গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন : এই সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ